স্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের পর গড়ে উঠে শারীরিক সম্পর্ক। এরপর প্রেমিকের কথামতো গত মাসের ৯ মে পাত্রের বাড়িতে অবস্থান করেন কলেজছাত্রী। সেসময় গ্রামের মানুষ জানাজানি করে নাকফুল পড়িয়ে বাগদান করে পাত্র পক্ষ। কথা ছিল দুই মাসের মধ্যে কাবিন পড়িয়ে ঘরে তুলে নেবেন। কিন্তু গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেছেন প্রেমিক সাকিবুল। এখন লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছেন না ওই কলেজছাত্রী।
এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুর পাড়া গ্রামে। প্রেমিক সাকিবুল ইসলাম (২২) ওই এলাকার মৃত ওহাব মোল্লার ছোট ছেলে। তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গা-ঢাকা দিয়েছে শাকিব।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী ও ভুক্তোভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, দু’বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে শাকিব তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এখন অন্যত্র বিয়ের সংবাদে স্ত্রীর স্বীকৃতিতে তিনি অনশন করছেন। ঘটনার আপোষ-মিমাংসার জন্য মঙ্গলবার রাতে বৈঠক হবার কথা থাকলেও তা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত ৯ মার্চ গ্রাম্য শালিস বৈঠকে দু-মাসপর বিয়ের প্রতিশ্রæতি দেয় শাকিবের পরিবার। কিন্তু তারা শুনেছেন শাকিব অন্যত্র বিয়ে করেছেন। মেয়েটি এখন কোথায় যাবে? তারা শাকিবের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।
শাকিবের বড় ভাই হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১১ এপ্রিল শাকিব বিয়ে করে শশুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। অনশনের বিষয়টি তারা সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
ভুক্তোভোগী ওই তরুনীর পিতা সাকাত প্রামানিক বলেন, গ্রাম্য বৈঠক ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে তার মেয়েকে নাকফুল পরিয়ে স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে শাকিব অন্যত্র বিয়ে করেছে। এমন প্রতারকের তিনি আইনানুগ বিচার দাবী করেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।