স্টাফ রিপোার্টার
নাটোরের গুরুদাসপুরের একজন প্রবাসীর নাম মামলা থেকে বাদ দিবে এই শর্র্তে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করায় গুরুদাসপুর থানার এস আই আবু জাফর মৃধাকে সাময়িকভাবে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে নাটোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছোড়া সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সনজয় কুমার সরকারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।বুধবার সকালে তাকে নাটোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
প্রবাসী রাসেল হোসাইনের পরিবার সুত্রে জানা যাায়, গত ১৫ মে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে দুর্বত্তরা মারপিট করেন। মারপিটের সময় আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসাইনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এরই জেরে পরদিন ১৬ তারিখে মামলায় প্রবাসী রাসেলকে ১ নম্বর আসামী করে মামলা করেন ফরিদ মোল্লা। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান গুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধা। মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এসআই আবু জাফর মৃধা প্রবাসী রাসেল হোসাইনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার ম্যানেজারের কাছে ঘুষ দাবি করতে থাকেন। একপর্যায় গত ২ জুন মোবাইল ফোনে ব্যবস্থাপক গোলাম রাব্বির কাছে প্রবাসী রাসেল হোসাইনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এবং ঈদের পূর্বেই এক লাখ টাকা দিতে হবে বলেও জানান।
গোলাম রাব্বি জানান, তিনি এসআইয়ের ঘুষ দাবির বিষয়টি রেকর্ড করে প্রতিকার পাওয়ার জন্য নাটোর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ।’
আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসাইন জানান, ‘আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রবাসে থেকেও আমি দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে চাঁচকৈড় বাজারে দুইটা ব্যবসা পরিচালনা করছি, যা স্থানীয় ম্যানেজার গোলাম রাব্বি দেখাশোনা করে। কিন্তু আজ আমি চরম হতাশা, অপমান আর কষ্ট নিয়ে বলছিÑএকটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মারপিটের মামলায় আমাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে, যেখানে আমি দেশে পর্যন্ত নেই। এর চেয়েও ভয়াবহ সত্য হলোÑগুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধা রাব্বিকে ফোন দিয়ে মামলায় নাম কাটার শর্তে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তার মুখে সরাসরি এমন কথা শুনে আমি হতবাক, ব্যথিত এবং আতঙ্কিত।
আমি সরকারের কাছে, পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে এবং সাংবাদিক ভাইদের কাছে জোর দাবি জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। এসআই আবু জাফরের মতো দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’ এ বিষয়ে একটি অডিও গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মমাাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং ংবিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাাদ প্রকাশিত হয়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে গতকাল এসআই আবু জাফর মৃধা মুঠোফোনে বলেন, ‘টাকা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। এসকল অভিযোগ সত্য নয়।’
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি। এ কারণে ্এসআই আবু জাফফর মৃধাকে বরখাস্ত করে নাটোর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বরিুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।