নাটোরের লালপুরে নিভৃত পল্লিতে বঙ্গবন্ধু চেতনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব এবং সংগ্রামী আদর্শিক নেতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট ২০২৩) উপজেলার মুরদহ গ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
প্রধান আলোচক ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান। ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ,নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম (পিপিএম), এসপি পিবিআই মো. শরীফ উদ্দীন, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্যা, লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. মোমীনুল ইসলাম, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) মো. শরীফ আল রাজীব,সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) মো. আকতারুজ্জামান, লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন, ওসি জাবেদ মাসুদ, ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ। দোয়া শেষে দুপুরে ফাউন্ডেশন চত্ত্বরে কাঙ্গালিভোজের আয়োজন করা হয়।
দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের নায়কদের বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। হত্যকারীদের দায়মুক্তি ও পূর্নবাসনকারীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, পাঁচ ভাই মিলে পিতা-মাতার নামে ‘হাফিজ-নাজনিন ফাউন্ডেশন’ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শাহ মিজান শাফিউর রহমান। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী আলোকচিত্রের মাধ্যমে নিভৃত পল্লিতে বঙ্গবন্ধু চেতনায় ব্যাপক প্রচারণা, করোনাকালীন সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান, কুয়েতি ট্রাস্টের সহায়তায় নির্মাণ করেছে ২১টি মসজিদ, ৩০০টি গ্রামে ৬ শতাধিক নলকূপ, মাদরাসা, স্কুল সংস্কার ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেলাই মেশিন বসিয়ে আউটলেট তৈরি, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ফাউন্ডেশন।