স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে গত মঙ্গল ও বুধবার রাতে কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ডিজেল চালিত ২০টি সেচযন্ত্র (শ্যালো মেশিন) চুরি হয়েছে। এতে বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল- আগ্রাণ বিলের দেড়শত এবং গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি বিলের তিনশ বিঘা জমির ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এর এক সপ্তাহ আগে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের রোলভা বিল থেকেও আটটি সেচযন্ত্র চুরি হয়।
বৃহস্পতিবার প্রতিকার পেতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ইউএনও এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বুধবার রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের আগ্রান-পারকোল বিল থেকে পারকোল গ্রামের কৃষক অরুন মিয়া, জিয়াউর রহমান, জামান হোসেন, বদর আলী, আগ্রাণ গ্রামের সবুর আলী ও আজাহার আলীর মোট ৭টি সেচযন্ত্র এবং মঙ্গলবার রাতে গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি বিল থেকে ওই গ্রামের কৃষক আহসানুল আমিন, নঈম উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, খালেদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মিলন হোসেন, সাইদুল ইসলাম, রনি, আরমান মোল্লা, মিজানুর রহমান ও ইয়ার আলীর মোট ১৩টি সেচযন্ত্র চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা।
পারকোল গ্রামের জিয়াউর রহমান ও গড়মাটি গ্রামের খালেদ হোসেন জানান, শ্যালোমেশিনে সেচ দিয়ে তারা যুগ যুগ ধরে ফসল আবাদ করে আসছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে আনা নেওয়ার সমস্যার কারণে তারা মেশিনগুলো বস্তা দিয়ে ঢেকে বিলেই রেখে যান। আগে কখনো এমন চুরি হয়নি। মেশিনগুলোর মধ্যে নতুনগুলোর একেকটি ২০-২৫ হাজার এবং পুরাতনগুলোর একেকটির দাম ১০-১৫ হাজার টাকা। চাষাবাদের ভরা মৌসুমে এমন চুরির ঘটনায় দরিদ্র কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
আহসানুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমি শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে ১১টার দিকে বাড়ি গেছি। রাতে আমাদের বিল থেকে ১৩টি মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে।
আলমগীর হোসেন বলেন, এতে প্রায় ৩০০ বিঘার জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব জমিতে রসুন, গম, ভুট্টাসহ চৈতালি ফসল রয়েছে।
ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সেচযন্ত্র চুরির খবর পেয়েছি। তাছাড়া দ্রুত চোরদের শনাক্ত করে সেচযন্ত্রগুলো উদ্ধার করতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে চোর চক্রকে ধরতে আমরা মাঠে নেমেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই চোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে আশা করি।