নাটোরে যুবলীগ নেতাকে খুুটির সাথে বেঁধে পেটানোর সাত দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু

  • বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪
নাটোরে যুবলীগ নেতাকে খুুটির সাথে বেঁধে পেটানোর সাত দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু#
মাথায় মাফলারবাধা দাড়ানো বাবু। ফাইল ছবি।

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর সদর উপজেলার দরাপপুরে একজন যুবলীগ নেতাকে খুটির সাথে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান বাবু -৪৫ সদর উপজেলার দরাপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থকেই বাবু ও দিন দলটির নেতা সাইদুর রহমান ও তাঁর ভাইদের বাড়িঘরে হামলা , ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এরপর থেকে বাবু ও তাঁর তিন ভাই আত্মগোপনে ছিলেন। গত ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাইদুরকে আটক করে দরাপপুর বাজারে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যেই তাঁকে রড ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিন বিকেলে তাঁকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
সাইদুরের ভাই ও স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম নান্নুর দাবি, তাঁর ছোট ভাইকে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি এখনো আত্মগোপনে আছেন । িিনরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিনচ্ছুক একজন আওয়য়ামীলীগ নেতা জাানান, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গালের নির্দেশে স্থাানীয়য় বিএনেপির নেতা কর্মিরা বাবুকে খুটির সাথে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে মূমুূর্র্ষ অবস্থায় ফেলে রাখে । পরে তাকে নােেটার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা গুরুতর বিবেচনা করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায বুধবার রাতে বাবুর মৃত্যু হয়্
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পেশায় মাছচাষি হলেও সাইদুর রহমান বাবু বিগত সরকারের আমলে বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। অনেককেই নির্যাতন করে অর্থ আদায়ের অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব কারণে সাইদুরের ওপর স্থানীয়দের ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তবে জেলা যুবদলের সহ সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গাল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , তিনি বাবুকে নির্যাতেেনর বিষয়ে কিছুুই জানেন না। প্রয়োজনে আপনারা বাবুুর পরিবারের সাথে কথা বলে তার সত্যতা যাচাই করতে পারেন। আমি শুনেছি মৃত্যুকালে বাবু কারা কারা তাকে নির্যাতন করেছেন তা তিনি তার পরিবারের কাছে বলে গেছেন।
এ বিষয়ে নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন,বাবুেেক নির্যাতেেনর বিষয়ে কোন অভিযোগ তিনি পাননি। এখন হত্যা বিষযে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
COPYRIGHT 2023 sangbadshoily, ALL RIGHT RESERVED
Site Customized By NewsTech.Com