স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশু শিক্ষার্থী আবির বাড়ি থেেেক বেবর হয়ে নিখোজের ৬ ঘন্টা পর তার মাথা ও মুখ থেতলানো মৃৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে সহপাঠি হযরত আলী মোল্লা নামে (১২) অপর এক শিশুকে আটক করেছে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত শিশু আবির-১০ বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মহিষ ভাঙ্গা মহল্লার মিলন হোসেনের এক মাত্র ছেলে এবং বনপাড়া আদিব ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র ছিল।অপরদিকে আটককৃত হযরত আলী-১২ মহিষভাঙ্গা গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে এবং আাবিরের সহপাঠি।
পুলিশ ও আবিরের পরিবার সুত্রে জাানা যায় , বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে শিশু আবির তার বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যায় বািিড় ফিফরে না এল তারর খোঁজাখোজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এমনকি বনপাড়া বাজজার এলাকায় আবিরের সন্ধান চেয়েয় মাইকিঙ করাা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত্রী ১০ টার দিকে বাড়ির সামান্য দুরে মহিষ ভাঙ্গা এলাকার মহাসড়কের পাশে তার রক্তমাখা সাইকেল পাওয়া যায়। সেখান থেকে আশেপাশে খুঁজে তার রক্তাক্ত লাশ মসলা ফ্যাক্টরী সংংলগ্ন একটি আখ ক্ষেতের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।আদিবের মুখ ও মাথায় ভারি কোন কিছুর আঘাতে থেতলানো ছিল ।
আবিরের প্রতিবেশীরা জানান, বিকেলে আবির ও হযরত একসাথেই বাড়ি থেকে বের হয়। তারা পাটোয়ারী পাম্পের পাশে নির্মাণাধীন মসলা কারখানার ওয়ালে বসে মোবাইল দেখছিল। ওই দেখা নিয়ে দু’জনের মধ্যে মতপার্থক্য হলে হাতাহাতির একপর্যায়ে সেখানে থাকা ইট নিয়ে একে অপরকে আক্রমন করে। এক পর্যায়ে আবিরের মাথায় ইট লেগে পাশে রাখা সাইকেলের ওপর লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে টেনে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যখন বুঝতে পারে আবির মারা গেছে তখন মুখ থেতলে দেওয়া হয়েছে। হযরত মনে করেছিল হয়তো এতে আবিরকে কেউ চিনতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, এটা নিতান্তই মারামারি করতে গিয়ে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনা। কোন পরিকল্পিত ঘটনা নয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের পরে আলমত ওস্থানীয়দের বর্ণনার আলোকে হযরত আলীকে রাতেই তাারর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে দুজনের মধ্যে মারামারি থেকেই ওই নির্মম ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আটক হযরত আলীও শিশু তাই সর্তকতার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রমানিত হলে আটক আর কোন ভাবে প্রমান করতে না পারলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আটক শিশু হযরত আলীকে সুরক্ষা দিতে বিধি মোতাবেক থানায় গিয়ে কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, হযরত আলীর হাতেও ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবিরের সাথে তার মারামারি হয়েছে মর্মে স্বীকার করেছে।
এ ঘটননাযয় এলাককায়য় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হযেছে।
