স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিদ নির্বাচনে মনোননয়ন জমা দেওয়ার শেষে দিনে নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তার ভাই ও অপরএকজন আওয়ামীলীগ নেতাকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত কালো রংয়ের হাইস মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৬-৫৩৯৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকাল সারে ৫টারদিকে সিংড়া উপজেলার চকপুর গ্রামের নিজ বাড়ির গ্যারেজ হতে হতে ওই মাইক্রোবাসটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ আতাউর রহমান (৪৫) নামে এক আসামিকে গেস্খফতার করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত রবিউল্লাহ প্রামানিক এর ছেলে। শনিবার সন্ধা ৭টার দিয়ে নাটোর পুৃলিশ সুপার কার্য্যলয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিং থেকে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেসব্রিফিংএ পুলিশসুপার তারিকুল ইসলাম জানান, গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়ন পত্র জমাদানে বাধা দেয়া, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বাড়ির সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায় তারা। ওই প্রার্থীকে মারধরের ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নাটোর পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন আদালতে সুমন আহমেদ ১৬৪ ধারায় জবাবন্দীতে বলেন লুৎফুল হাবিব রুবেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন কে অপহরণ ও মারধর করেন। তাদের সাথে কেকে ছিলেন তাও স্বীকার করেন তিনি। ওই ঘঁটনার পর থেকে মাইক্রোবাসটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্লিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আহতের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রেসব্রিফিং থেকে আরও বলা হয়, নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম (পিপিএম) এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে নাটোর জেলার সিংড়া বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য ও দেখানো মতে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত কালো রংয়ের বর্ণিত মাইক্রোবাসটি আসামীর বসত বাড়ীর গ্যারেজ হতে উদ্ধার করা হয়। অপহরণ কাজে মাইক্রোবাসের ভিতর তল্লাশী করে দুইটি চায়না চাপাতি, একটি চায়না টিপ চাকু, একটি বার্মিজ কাটার,দুইটি দেশীয় রামদা,দুইটি স্টিলের পাইপ, দুইটি স্ট্যাম্প লাঠি,একটি চাপাতি, পলাতক আসামী সুজন ড্রাইভার এর ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ীর কাগজপত্র।
একই সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ রুবেল হোসেন এর অসংখ্য লিফলেট, স্টিকার লিফলেট, ক্যালেন্ডার সম্বলিত পোস্টার ছবিওই মাইক্রোবাস হতে উদ্ধার করা হয়।তিনি আরো জানান, গাড়ীর প্রকৃত মালিককে তা জানার জন্য বিআরটিএকে জানানো হয়েছে। আগামিকাল আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা প্রকৃত মালিকের নাম জানাতে পারব।
পুলিশ ও দেলোয়ারের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকালে নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বাড়ির সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায় তারা। ওই প্রার্থীকে মারধরের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে নাটোর পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন আদালতে সুমন আহমেদ ১৬৪ ধারায় জবাবন্দীতে বলেন লুৎফুল হাবিব রুবেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন কে অপহরণ ও মারধর করেন। তাদের সাথে কেকে ছিলেন তাও স্বীকার করেন তিনি। নাটোর থানার ওসি মিজানুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন কারা এ ঘঁনায়জড়িত ছিলেন তাদের নাম ও বলেনছেন সুমন । তবে তদন্তের স্বার্থে নাটোর থানার ওসি তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।