স্টাফ রিপোর্টার
নাটোর পৌরসভার ভিতরে ঠিকাদারী কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নাটোর পৌর কাউন্সিলর হিরো ও যুবলীগ কর্মি হাসু গ্রæপের সংঘর্ষে সিহাব হোসেন শিশির (২৫) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবলীগ কর্মি হাসু গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার(১৬ এপ্লিল) দুপুরে নাটোর পৌরসভার ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা ওসি মো. মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।এ ঘটনায় পুলিশ ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর েেরাকনুজ্জামান হিরো হিরো ও মো. হাসুকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শিহাব হোসেন শিশির(২৫) নাটোর শহরের মল্লিকহাটি এলাকার মোজাহার আলী মুন্নার ছেলে। এবং আহত মো. হাসু কান্দিভিটুয়া এলাকার আলম হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষ দর্শি জানান, শহরের মল্লিকহাটি এলাকায় ঠিকাদারী কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রোকনুজ্জামান হিরো ও মো. হাসু গ্রæপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রæপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সিহাব হোসেন শিশির এবং হাসু আহত হন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত শিশিরকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাটোর পৌৗর সভার ভিতরে সংঘটিত সংঘর্ষৃ ও হত্যাকান্ড বিষেেয় নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী বলেন ,নাটোর পৌর সভার একটি ড্রেন নির্মাণ করেন পিংকী কন্সট্রাকশান। গত কয়েকদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছিলাম আমাদেও পৌরসভার মধ্যে কাউন্সিলর হিরো এবংং হাসুর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এজন্য আজ দুপুুরে পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, প্যানেল মেয়র, নির্বাহী প্রধান কর্মকর্তা এবং প্রকৌশলী বসে উভয় পক্ষকে ডেকে একটি সমঝোতা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তার আগেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় আমরা মর্মাহত এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।হাসপাাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া হাসু জানান, কাউন্সিলর হিরোর সাথে তিনি ৯৮ লাখ টাকার ড্রেন নির্মাণের কাজ করেন। নিজেদেও মধ্যে আলোচনা অনুযায়ী কাজের অর্র্ধেক লাভ আমাদের দেওয়ার কথা। কিন্তু টাকা দিতে হিরো টালবাহানা শুরু করে। আজকের বৈঠকে সকলে মিলে আমাকে ৪লাখ টাকা লাভ প্রদানের জন্য বলেন। কিন্তু সমঝোতা সভা থেকে বের হয়ে আসার পর পরেই হিরো বলেন, আমি এসব মানিনিা। হাসু কোথায় ওকে সাইজ কর। এরপরই হিরোর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায় এবংং তিনিসহ শিশির আহত হন। তবে এ বিষয়ে হিরো পুলিশ কাস্টডিতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। অপরদিকে হত্যাাকান্ডের সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় এসপি তারিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।