বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুইজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে চান্দাই ইউনিয়নের দিয়াড়গাড়ফা সরদার পাড়া মোমিনের চায়ের দোকানের সামনে ও গত বুধবার রাত নয়টার দিকে জোনাইল ইউনিয়নের রাণীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দিয়াড় গাড়ফা উত্তরপারা গ্রামের মৃত নওশের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল খালেক (৬০) ও জোনাইল ইউনিয়নের দাড়িকুশি পুরান পাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে নওশের আলী মোল্লা (৫৫)। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিল।
আহত আব্দুল খালেক বলেন, আমি নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারনা করেছিলাম। নির্বাচনের আগের দিন দিয়াড় গাড়ফা গ্রামের মৃত শেরা মোল্লার ছেলে ও নৌকা প্রতিকের কর্মী আরব আলীসহ কয়েকজন আমাকে প্রচারণায় অংশগ্রহন করতে নিশেধ করে। আমি নিশেধ না শুনলে আমাকে নির্বাচনের পরে মারপিটের হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমি সকালে দিয়াড়গাড়ফা সরদার পাড়া মোমিনের চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে আরব আলীসহ (৫৫) কয়েকজন এসে আমাকে মারপিট শুরু করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
নওশের আলী মোল্লা বলেন, আমি ট্রাকে কর্মী ছিলাম। বুধবার ৯ টার দিকে দ্বারীকুশি গ্রামের সাকাত আলীর ছেলে ও নৌকা প্রতিকের কর্মী জালাল হোসেন (৫৫) ও প্লে আলী (২৩) আমার কাছে এসে এক লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে। তারা বলে “তুই ট্রাকের নির্বাচন করেছিস এখন তোকে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে”। আমি ট্রাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে মারপিট করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
আরব আলী বলেন, আব্দুল খালেকের সাথে আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ আছে। তাকে মারপিট করার মত ঘটনাই ঘটে নাই। আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
জালাল উদ্দিন বলেন, আমি পাওনা টাকা চাওয়ায় কথা কাটাকাটি হয়েছে। তার সাথে মারপিটের ঘটনা ঘটে নাই। টাকা না দেওয়ার জন্য কৌশল করে চাঁদার দাবীর অভিযোগ করছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ডলী রানী বলেন, আহত দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আজম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।**