স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের নলডাঙ্গায় উপজেলার মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে সড়কের নির্মাণ সামগ্রী ফেলে বিটুমিন গলিয়ে মেশিন দিয়ে চলছে পিচকার্পেনিং পাথর মিশ্রণের কাজ।পাশেই আগুন জ¦ালিয়ে গোলানো হচ্ছে বিটুমিন। কালো ধোঁয়া ঢুকে যাচ্ছে ক্লাশরুমে।ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরাসহ ব্যহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া।বিদ্যালয়ের মাঠে ফেলানো নির্মাণ সামগ্রী চেষ্টা করে সরাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় কৃর্তপক্ষ কে না জানিয়ে সড়ক নির্মাণ সামগ্রী বালু,পিচ কার্পেটিংয়ের পাথরের স্তুপ করে রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টার প্রাইজের লোকজন।বিদ্যালয় চলাকালে ওই মাঠে আগুন জ¦ালিয়ে গলানো হচ্ছে বিটুমিন।এতে কালো ধোঁয়া বিদ্যালয়ের ভবনের ক্লাশ রুমে প্রবেশ করায় শিশু শিক্ষার্থীদের শ^াসকষ্টসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে শিশু শিক্ষার্থীরা ব্যহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া।এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করলে শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে রাখা সড়ক নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু সে নির্দেশ মানেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।বিদ্যালয়ের প্রঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুন ফেরদৌস,চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলামিন,বাঁধন,রিয়া খাতুন বলেন,বিটুমিন গলানোর গন্ধে ক্লাশে বসা যাচ্ছে না। কালো ধোঁয়ায় শ^াসকষ্ট হচ্ছে এবং মেশিনের শব্দে ক্লাশে স্যারদের কথা বুঝা যাচ্ছে না।আমরা মাঠে নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে পারছি না। মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রৌকিয়া খাতুন বলেন,গত ৩১ ডিসেম্বর ঠিকাদারের লোকজন আমাদের অনুমতি না নিয়ে সড়কের নির্মাণ সামগ্রী রেখে কার্যক্রম চালাচ্ছে।এতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে।ঠিকাদারী লোকজনদের নির্মাণ সামগ্রী বারবার অনুরোধ করে সরিয়ে নিতে বললেও তারা সরাচ্ছে না।গত ১ জানুয়ারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা ও উপেজলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করেছেন।অবিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছে না।এ কারনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঠিকাদার মের্সাস আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের সাব ঠিকাদার ইমরান হোসেন বলেন,এলজিইডি বিভাগের কেশবপুর সড়কে কাজ করার জন্য মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রেখে সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।আগামী শুক্রবার পর্যন্ত কাজ চলবে।উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এ কাজ চলছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সানাউল্লাহ বলেন,বিদ্যালয়ের মাঠে সড়ক নির্মাণে কোন সামগ্রী রেখে কার্যক্রম করার কোন বিধান নাই।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে জানানোর পর আমি ও ইউ্এনও স্যার কে নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে চলা নির্মাণ সামগ্রীর কার্যক্রম বন্ধ করে ঠিকাদালোকজনদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।পরে মাঠের ছবি তুলে জেলা প্রশাসক স্যার কে দেওয়া হয়েছে।ঠিকাদাররা এসব কার্যক্রম চালানোর ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক বলেন,গত সোমবার আমি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে সঙ্গে নিয়ে মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঠিকাদারদের নির্মাণ সামগ্রী দ্রæত অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।তারপরও যদি না সরায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।