মিমের ইনকাম এখন লক্ষ টাকারও বেশি 

  • শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
মিমের ইনকাম এখন লক্ষ টাকারও বেশি #সংবাদ শৈলী

স্টাফ রিপোর্টার

প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর পরিশ্রম যে মানুষকে সফলতার দার প্রান্তে পৌছে দেয় তার জলন্ত উদহারণ, রাজশাহীর ছেলে ওবাইদুল্লা মিম।এখনো শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারেনি কিন্তু মাসে ইনকাম করেন লাখ লাখ টাকা, করেছেন একশত জনেরও বেশি ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।

শুধু কি তাই এই স্বপ্নবাজ তরুন কাজ করেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ফ্লিপাইন সহ বিশ্বের নানা দেশে আর এই সব ঘটিয়েছেন ফ্রিল্যান্সিং করে। তবে এই সফলতার গল্প সহজ ছিল না।

বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান ওবাইদুল্লাহ মিম। স্কুল জীবন থেকেই আগ্রহ ছিলো মোবাইল ইন্টারনেটের প্রতি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শিক্ষকের কাছ থেকে প্রথম ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে পরিচিত হোন এই স্বপ্নবাজ তরুন। জানতে পারেন, ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে বিদেশি মার্কিন ডলার আয় করা যায়। সেই থেকে শুরু দিনরাত ডলার আয়ের স্বপ্ন মাথায় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার নেশায় এদিক-সেদিক ছুটোছুটি। যেভাবেই হোক তাকে ডলার আয় করতেই হবে। স্কুল জীবন শেষ করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে  ভর্তি হয়। ২০১৮ সালে তার মাথায় আসে পড়া লেখার পাশাপাশি ইন্টারনেট ও মোবাইলকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করার। আয় করতেও শুরু করে মিম কিন্তু তার এই কাজের পরিধী বৃদ্ধির  জন্য প্রয়োজন হয়ে পরে কম্পিউটারের। বাবাকে বললে অল্প দামের মধ্যে একটি কম্পিউটার কিনে দেন। কাজ চলতে থাকে মিমের আয় ও শুরু হয়।

২০১৯ সালে তার সাথে পাঁচজনকে কাজে যুক্ত করেন। বছর শেষে দশজন কে নিয়ে “ফরওয়ে বাংলাদেশ” নামে একটি কোম্পানী খুলে বসে। এই যে যাত্রা শুরু গুটি গুটি পায়ে সেই কোম্পানী গতকাল ২১ ডিসেম্বর ৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করলো। এখন তার কেম্পানীতে কাজ করছে একশতজনের ও বেশি ছেলে মেয়ে।

মিম বলেন আসলে আজকের এই কোম্পানী খুব সহজে এই অবস্থায় আসেনি, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। দশজন নিয়ে কোম্পানী শুরু করার তিন মাসের মাথায় আমর পাঁচজন কাজ ছেড়ে চলে যায়।  তবুও আমি হাল ছাড়িনি কেউ যদি মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং করে এক রাতে বড় লোক হয়ে যাবো এটা ভুল অনেক ধৈর্য ধরতে হয়। এই কাজ করতে গিয়ে রাতে ঘুম হয়না। ভোরে ঘুমিয়ে আবার কলেজে চলে যায় এই ভাবে দিন কাটে। তবে আমি সব সময় চিন্তা করেছি আমার সফল হতেই হবে। আমার চাকরি করার কখনো চিন্তা ছিলোনা। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার সাথে কাজ করছে সারদেশ থেকে একশজনের ও বেশি ছেলে মেয়ে। আমি ভবিষ্যতে পাঁচশত জনের ও বেশি ছেলে মেয়ে নিয়ে কাজ করতে চাই। তৈরি করতে চাই অসংখ্য পরিবারের কর্মসংস্থান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
COPYRIGHT 2023 sangbadshoily, ALL RIGHT RESERVED
Site Customized By NewsTech.Com