স্টাফ রিপোর্টার
নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ কে আজাদ সোহেল নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) তার মৃত্যু হয়। বিএনপির কারাগাওে তাকে নির্যাতনে সোহেল অসুস্থ হয়ে পড়লেও পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি। আদালত থেকে জামিন তার জামিন নিয়ে কারাগারে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায় সোহেল রাজশাহী মেডিকেলে অসুস্থতা জনিত কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে তারা রাজশাহী মেেিকলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। মৃত সোহেলের ভাই শামমিম হোসেন তার মৃত্যুও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত একে আজাদ সোহেল সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং হাতিয়ানদহ গ্রামের আব্দুল আলী প্রামাণিকের ছেলে।
মৃত সোহেলের ভাই শামিম আহমেদ বলেন ,গত ১৮ নভেম্বর সোহেলকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার কওে ডিবি পুলিশ। পওে মিথ্যা নাশকতার মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগাওে পাঠানো হয়। গত ৩০ নভেম্বর আদালত এ কে আজাদ সোহেলকে জামিন দেন। পরে কারাগারে তাকে নিয়ে আসতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায় সোহেলকে অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আমরা রাজশাহী গিয়ে দেখি তাকে অবহেলার সাথে রাজশাহী মেডিকেলের বারান্দায়রাখা হয়েছ্।ে পওে তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুওে তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, মরদেহ এখনো হাসপাতালেই আছে। মরদেহ বের করতে পারলে আগামীকাল জানাজা-দাফন হবে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ অভিযোগ করেন এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পর সে স্ট্রোক করে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যুহয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সোহেলের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো. মোশফিকুর রহমান জানান, গত ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করলে আমরা তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেই। সে রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিল।
এ কে আজাদ সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে এ রকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওযায় পরিবারকে খবর দেওয়া জরুরী মনে হয়নি।