স্টাফ রিপোর্টার

নাটোরের লালপুরে বেসরকারী হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবকিা মাহমুদা শারমিন বিথি (৩২) হত্যার ঘটনায় জাহিদ হাসান সাদ্দাম (২৯)নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তার স্বীকারোক্তি মতে ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে বিথি হথ্যাকান্ডে ছুর উদ্ধার করে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত জাহিদ হাসান সাদ্দাম (২৯),বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।অনেতিক সম্পর্কের জের ধরে বিথি বিয়ে করার জন্য সাদ্দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে সাদ্দাম তাকে হত্যা করে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

হত্যাকান্ডের শিকার বিখি

পুলিশ জানায়, নাটোরের লালপুরে বেসরকারী হাসপাতাল গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন মাহমুদা শারমিন বিথি। গত বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর কাজ শেষে প্রতিদিনের মত রাত ৮ টা’র মধ্যে বাড়ি না ফিরলে নিহতর বাবা মো: আমজাদ হোসেন (মামলার বাদি) মেয়েকে অনেক খোঁজ করেও সন্ধান পান নাই। শুক্রবার ২৪ নভেম্বর সকালে লালপুরের গোপালপুর পৌরসভার অন্তর্গত তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আমবাগানের মধ্যে একজন মহিলার লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবা সেখানে গিয়ে মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন। পরে ওইদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন। এঘটনায় নিহত বিথির বাবা বাদি হয়ে লালপুর থানায় অজ্ঝাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে ঘটনার পর পরই পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তি এবং প্রাপ্ত কত্য উপাত্ত বিশ্রেষণ করে লালপুর থানা পুলিশ গত রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর থেকে সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে এবং তার দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, সাদ্দামের সাথে নিহত বিথির দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে ভিকটিম বিথি আসামি সাদ্দামকে বিবাহের জন্য চাপ দিলে মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম এতে অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসামি মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম নিহত বিথিকে কৌশলে ডেকে নেয় এবং গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আম বাগানে ভিকটিমকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।