স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপিসহ সমমনা দলের ডাকা তিন দিন অবরোধ কর্মসুচীর প্রথম দিন নাটোরে ট্রেন গুলিতে উপচে পড়া ভীড় দেখা গেলেও বাস যাত্রী ছিল কম। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ঢাকাসহ দূরপাল্লার রুটের যাত্রি নেই। যাত্রি সংকটের কারনে বাস চলাচল কম চলাচল করছে। আন্তঃজেলা রুটগুলোতে বাস চালানোর চেষ্টা করছেন মালিক-শ্রমিকরা। কিন্তু যাত্রি না থাকায় বাসগুলিকে স্ট্যান্ডে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রী কম থাকায় সেগুলো সময়মতো ছাড়ছে না। টার্মিনাল এলাকায় মাইকিং করেও যাত্রির দেখা মিলছেনা।তবে বেলা দুটোর সময় নাটোর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। স্টেশন মাষ্টার অশোক কুমার জানালেন সকল ট্রেনেই যাত্রীদেও চাপ রয়েছে।
নাটোর বাস মালিক সমিতি নিয়োজিত হরিশপুর টার্মিনালে কর্মরত চেইন মাষ্টার হারুনুর রশীদ জানান, অন্যদিনের মত বাস বা যাত্রির ভির নেই। সকালে নাটোর টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৩টি গাড়ি ছেড়ে যায়। এর মধ্যে একটি গাড়ি চন্দ্রা এলাকায় পিকেটারদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে যাত্রি না থাকায় পরবর্তী গাড়িগুলো আর যায়নি। মাইকিং করেও যাত্রি পাওয়া যায়নি। তবে জেলার অভ্যন্তরে বাসগুলো চলাচল করেছে।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন,তারা এই অবরোধ প্রত্যাখান করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা দুরপাল্লা সহ আন্তজেলা রুটে বাস চলাচল করছে। কিন্তু যাত্রি স্বল্পতার জন্য গাড়ি চলছে কম। অপরদিকে অবরোধ নাশকতা মোকাবেলায়মান্তি সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।