স্টাফ রিপোর্টার
গত কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে নাটোরের সিংড়ায় ১৪৯০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পুরোপুরি নিমজ্জিত হয়েছে ৪৯২ হেক্টর জমির ধান। এদিকে উঁচু অঞ্চল থেকে নেমে এসে পানি আরো বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোনা ও রোপা আমন ধান।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকালে তলিয়ে যাওয়া জমির ধান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ১৪৯০ হেক্টর জমির বোনা ও রোপা আমন পানির নীচে তলিয়ে গেছে। উপজেলার ইটালি, চামারী, লালোর, শেরকোল, তাজপুর, চৌগ্রাম ও ছাতারদিঘী ইউনিয়নে বোনা ও রোপা আমন লাগিয়েছিলেন কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েক দিনের একটানা ভারি বর্ষণে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে যায় এসব এলাকার বোনা-রোপা আমন ধানসহ বীজতলা।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা চামারী ইউনিয়নের বিলদহর মৎস্যজীবি পাড়া, আনন্দনগর, ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি, ইটালী ইউনিয়নের তিশিখালী, চৌগ্রাম ইউনিয়নের কান্তনগর, ও বড়িয়া বিল পরিদর্শন করেন। এসময় অবৈধ সৌঁতিজাল ও বানা না দেওয়ার জন্য মৎস্যজীবিদের মাঝে গণসংযোগ ও প্রচারণা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ শামিমা আকতার, উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী কাজী মুসা, উপজেলা পরিষদের সিএ মাহবুব হাসান প্রমুখ।
সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ভারি বর্ষণে এ উপজেলার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও সিংড়া উপজেলায় সৌঁতিজাল ও বানা না দেওয়ার জন্য গণসংযোগ করেছি। এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে রয়েছি, চেষ্টা করবো সাধ্যমত সহযোগিতা করার জন্য।