স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে শনিবার সকাল থেকে বোমা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অধ্যক্ষের কার্যালয় সামনে একটি বড় কার্টুন প্লাস্টিক বস্তা দিয়ে মোড়ানো। তাতে লেখা আছে প্রিন্সিপাল বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর। ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বস্তা মোড়ানো পার্সেলে নাশকতার উদ্দেশ্যে বিষ্ফোরক জাতীয় পদার্থ বা বোম রাখা হয়েছে। এ আতঙ্কে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন অব্যাহত রয়েছে। রাত হলেও সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় কমছেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন, ভীতি তৈরীর জন্য এটা একটি সাজানো নাটক হতে পারে। তবে অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাঈদের ধারণা, তাকে মেরে ফেলার জন্য বা আতংক তৈরীর জন্য প্রতিপক্ষ জালাল শাহ ও বাবুল আক্তার এটা করেছে।
জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটির কর্তৃত্ব নিয়ে জালাল শাহ ও সাঈদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। জালাল শাহ বলেন, সাঈদ বঙ্গবন্ধু কলেজের কেউ না। হারানো অধ্যক্ষ পদ রক্ষার্থে এটা ওঁর কারসাজি হতে পারে।
রাজশাহী থেকে র্যাব-৫ এর বোমা ডিস্পোজাল টিম বিকেলে আসে। কিন্তু পার্সেল বস্তাটি বড় হওয়ায় ঢাকার বোমা নিষ্ক্রিয় টিমকে আনার পরামর্শ দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, উৎসুক জনতার ভিড় এড়াতে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন অব্যাহত আছে। ঢাকা থেকে সরঞ্জামসহ বোমা বিশেষজ্ঞ টিম আসতে গভীর রাত হতে পারে। তারা আসলে ওই পার্সেলটি বোমা নাকি অন্য কিছু তার রহস্য উন্মোচিত হবে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।