স্টাফ রিপোর্টার
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার শ্যামনগর এলাকায় ভাঙন ঝুঁকি দেখা দিয়েছে বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।বৃহস্পতিবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে সারারাতে বারনই নদীর রেলওয়ে ব্রীজ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি হয়েছে।বারনই নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আর এতে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের শ্যামনগর ও পিপরুল মধ্যপাড়া এলাকায় টানাবৃষ্টিতে বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ শ্যামনগর এই স্থানে বন্যা বেশি হলেই বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ফাটল ধরে ভাঙন ঝুঁিকতে পড়ে।মাঝে মাঝে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তারা বালুর বস্তা ফেলে ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করে,কিন্ত স্থায়ীভাবে কোন কাজ করেনা।নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল হক বলেন,খবর পেয়ে আমি ও নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা বাঁধ পরিদর্শন করা হয়েছে।নাটোর পানি উন্নয়ন কর্তপক্ষ ও জিও ব্যাগ ফেলে বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় কাজ করবেন এবং উপজেলা এলজিইডি বিভাগ বাঁধের পাকা সড়কে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তা মেরামত করে দিবেন।
এদিকে বুধবার রাত থেকে বৃস্পতিবার সারাদিন টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্ববিরতা।বৃস্পতিবার সকাল থেকে ঘর থেকে বের হতেই পারেনি সাধারন মানুষ।সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছে বাজারে দ্রব্যমূল্যের যে হারে দাম বাড়ছে তাতে আমরা একদিন খাটতে না পারলে সংসার চালাতে কষ্ট বেড়ে যাবে।