স্টাফ রিপোর্টার
সীমা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূকে শারিরীক নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় শুক্রবার সকালে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ সীমা খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর বাহাদুরপাড়া গ্রামের রতন ওরফে কালু মিয়ার স্ত্রী। শ্বশুর বাড়িতেই বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই গৃহবধূ স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। এঘটনায় গতকাল শুক্রবার স্বামী কালু মিয়াসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড়ভাই রুবেল আহম্মেদ।
নিহতের স্বজন ও মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, সীমার সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই সন্তান থাকা সর্তেও সীমাকে প্রায়ই শারিরীকভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী কালু মিয়া। সবশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে যখম করেন সীমা খাতুনকে। দুুপুর একটার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সীমাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেওয়া হয়। সেসময় সীমার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আবারো হাসপাতালে আনা হয় গৃহবধূ সীমাকে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক চৈতী মুন্সি বলেন, সীমার মাথায় আঘাত ছিল। শরীরে বিষের উপস্থিতি থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানা হয়।
মামলার বাদি নিহতের বড় ভাই রুবেল আহম্মেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সীমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছিলেন স্বামী কালু মিয়া। ঘটনার দিন শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে। অপরাধ ঢাকতে তড়িঘড়ি করে স্বামীর বাড়ির লোকজন সীমার লাশ দাফনের চেষ্টা করেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় কালুর চাচাতো ভাই স্বপন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।