স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলে পিকনিকে গিয়ে নৌকার শ্যালো ইঞ্চিনের চাকায় ওড়না পেচিয়ে মুন্নি নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার হালতি বিলের ত্রিমোহনীর মাছের অভয়াশ্রমের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম মুন্নি খাতুন (১৫) তিনি উপজেলার খাজুরা গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী কসাই মতিনের মেয়ে ও খাজুরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,বুধবার উপজেলার খাজুরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নৌকা নিয়ে পিকনিকে বের হয়।এসময় দশম শ্রেণির ছাত্রী মুন্নি খাতুন নৌকার ইঞ্চিনের কাছে বসে ছিল।হঠাৎ অসাধানতাবশত ছাত্রীর ওড়না বাতাসে উড়ে নৌকার শ্যালো ইঞ্চিনের চাকায় পেচিয়ে যায় এবং গরুতর জখম হয়।গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রী মুন্নিকে উদ্ধার করে শিক্ষকরা নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।খাজুরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,খাজুরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হালতি বিলে নৌকা নিয়ে পিকনিকে গিয়ে মুন্নি নামের এক ছাত্রীর নৌকার ইঞ্চিনের চাকার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গরুতর আহত হয়।পরে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।এর মধ্যে অন্য কোন ঘটনা আছে কিনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যেহেতু এই নৌকা ভ্রমণে বা পিকনিক স্কুল থেকে আয়োজন করা হয়েছিল সেহেতু এখানে অবশ্যই দায়িত্বরত কোন স্যার ম্যাডাম ছিল।। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে তাদের উচিত ছিল নিরাপদ জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া ।।। সেটা না করে স্যারেরা তাদের ইচ্ছামতো পছন্দমত জায়গায় বসেছে।। কে কি করছে সেগুলো না দেখে নিজেরা আনন্দ করায় ব্যস্ত,, যেহেতু এখানে টিচারেরা দায়িত্ব নিয়েছে সেহেতু প্রতিটা স্টুডেন্ট কি করছে সেটা খেয়াল রাখা,,, আর তা না হলে পিকনিক আয়োজন করার দরকার নাই ।।।টিচারদের কমনসেন্স বলে একটা জিনিস থাকা উচিত।।।যে মেয়েটার একটা রিপোর্ট কেউ দিতে পারবে ন।। আবার খাজুরা হাই স্কুলের সবচেয়ে talented student তার সাথে এই ঘটনা ঘটেছে। …একটা জীবনের অনেক দাম আছে,, শুধু স্যারদের ভুলের কারণে একটা প্রাণ চলে গেছে ।।।এখানে অবশ্যই স্যারদের শাস্তি হওয়া দরকার।।।। Atik