স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের লালপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।এঘটনায় আরো একজন দগ্ধসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুজন হলেন একই গ্রামের মৃত সাধুর স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৪০) ও তার মেয়ে মায়েশা খাতুন (৮)। দগ্ধ হয়েছেন শাহানাজের বৃদ্ধা মা ইয়াতুল বেগম (৭০) ও উদ্ধার কাজে আহত হয়েছেন শহিদুল্লাহর ছেলে সজল (২২)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শাহানাজ বেগমের স্বামী মারা যাওয়ায় তার মা ও মেয়েকে নিয়ে টিন সেডের একটি ঘরে থাকতেন। ওই ঘরেই রান্না করতেন তারা। শাহানাজের থেকে অসাবধনতাবশত কুপি বাতির আগুন থেকে ঘরের পাটকাঠির বেড়ায় আগুন ধরে যায়। এতে ওই নারীসহ ঘরে থাকা তার মা, মেয়ে আটকা পড়েন। পরে স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে এবং শিশুসহ ২ জনকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশাঙ্খাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মাইশা মারা গেছেন। এবং উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে সজল নামে এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়।
লালপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ছাব্বির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৯টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় শাহানাজ দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে রাতে কুপি বাতির আগুন থেকে ঘরের পাটকাঠির বেড়ায় ধরে এ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মা ও মেয়ের লাশ পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।