স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের লালপুর উপজেলার পদ্মা নদী ও নদী সংলগ্নচর গুলো থেকে সন্ত্রাসীদের ধরতে নাটোরের অঅ্িনমৃংখলা বাহিনীর প্রায় ৪০০ সদস্য য্যেথভাবে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের সময় দুটি আগ্নেয় অস্ত্রসহ বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় ২০জনকে। গত শনিবার রাত ৯টা থেকেরবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। তিনি জানান, নাটোর ছাড়াও কুষ্টিয়া , রাজশাহী, পাবনা জেলার পুলিশ আলাদাভাবে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পদ্মার চরকেন্দ্রিক অপরাধ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে ‘কাকন বাহিনী সহ কয়েকটি বাহিনীর নাম আসে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কথায় কথায় গুলি করে, মানুষ হত্যা করে, চরের বালু ও ফসল লুট করে, অপহরণ ও চাঁদাবাজি করে।
সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর চরে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে ‘কাকন বাহিনীর গুলিতে তিন কৃষক নিহত হন। এ ঘটনায় বাহিনীর প্রধান হাসিনুজ্জামান কাকনসহ কয়েকজনের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়। রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে।
নাটোরের এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, পদ্মারনদীর নাটোরের অংশ চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুরে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।এতে জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যা ব এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রায় ৪০০ সদস্য অংশ নেয়। গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুইজন হ্যাকার, ছয়জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, একজন সাজা প্রাপ্ত আসামি, একজন হত্যা মামলার আসামি এবং দুইজন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন।
এ সময় দেশে তৈরি একটি ওয়ানশুটার গান, একটি রিভলবার, ছয়টি বড় ছুরি, ২২টি হাসুয়া, চারটি চাকু, ছোরা, দুইটি চাপাতি, একটি দা, একটি লোহার পাইপ, একটি টিউবওয়েল এবং একটি চৌকি জব্দ করা হয়।চরাঞ্চলে পুলিশের ১০টি টিম এবং নদীতে ১৪টি ট্রলার দিয়ে অভিযান চালানো হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ড. মোহাম্মদ শাহজাহান-এর নির্দেশনায় এই অভিযান চালানো হয়। তার সরাসরি তত্বাবধান ও নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে অংশ নেন, র্যা বেরবের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ হাফিজ, নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। তিনি জানানম, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


