স্টাফ রিপোর্টার
নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের ১২ নেতা। রবিবার ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এসব প্রার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে গুরুদাসপুরের ছয়, বড়াইগ্রামের পাঁচ এবং নাটোর সদরের এক নেতা রয়েছেন।
বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে নাটোর ৪ আসন শূণ্য হওয়ায় এখানে উপনির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে ভোট গ্রহণ হবে ১১ অক্টোবর। ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ২৩ সেপ্টেম্বর। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। প্রাথীদের প্রতীক বরাদ্দ ২৫ সেপ্টেম্বর।
গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলী শশরীরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এছাড়া প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের কন্যা নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তার চাচা জামান উদ্দিন। এদিন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহম্মদ আলী, গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন,
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বড়াইগ্রাম থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন, এড. আরিফ সরকার, রফিক পারভেজ, অধ্যক্ষ আসাদ উজ্জামান এবং নাটোর সদর থেকে এই আসনের জন্য মনোনয়ন কিনেছেন রতন সাহা। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ভোটাদের মতে, আওয়ামী লীগের নেতারা মনোনয়োন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এই দলের কোনো নেতাই এখন পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে পৌঁছাননি। তবুও পরিস্থিতি বলছে- এসব নেতারা মাঠ সরগরম না করলেও নির্বাচন নিয়ে বেশ সক্রিয় ভূমিকায় আছেন। এই নির্বাচনে অংশ নিতে চায়না বিএনপি