স্টাফ রিপোর্টার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন ,বড়াল নদীটাকে সরকার এবং আমরা বাঁচাতে চাই বলেই আমরা এখানে এসেছি। ১৯০৭ সালে ৭০ সালের বড়ালের পানি দিয়ে বন্যা হয়েছে , এখন আর বন্যা হবে না । কারণ হচ্ছে উজানে বাধ দিয়ে আমাদের নদীগুলোর পানি প্রবাহকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আমাদের আরো বেশি জরুরী আমাদের ভূখণ্ডে যে নদীগুলো রয়েছে আমরা যেন সেগুলোর আর কোন বাড়তি ক্ষতি না করি। তিনি বলেন বড়াল নদীতে যখন স্লুইসগেট গুলো নির্মাণ করা হয়েছিল তখন এটার হয়তো প্রয়োজন ছিল, জনদাবি ও ছিল। এখন কিন্তু সেগুলোর আর প্রয়োজন নেই ।এখনকার বাস্তবতা হচ্ছে নদীতে নাব্যতা নেই যার কারণে শুস্ক মৌসুমে পানি থাকে না । তিনি বলেন আমার কাছে যতগুলো অভিযোগ এসেছে বড়াল নদী নিয়ে তার মধ্যে রয়েছে বড়াল নদীর ওপর তৈরি অবকাঠামো নিয়ে। সেই অবকাঠামা গুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয় তাহলেও কিন্তু নদীতে পানি আসবে না। কারণ নদীর তলদেশে অনেক স্থানে ভরাট হয়ে কোথাও উঁচু কোথাও নিচু রয়ে গেছে। এগুলো আমাদের খনন করতে হবে । চারঘাট স্লুইস গেট যেটা দেখে আসলাম সেখানে কিন্তু অতটা খনন করা লাগবে না । আমরা যদি গুরনই নদী পর্যন্ত খনন করি তাহলেই হবে । সব জায়গায় খনন করতে হবে না। তিনি বলেন এখন আমি নদীতে যে ধরনের পানি দেখছি তার মানে শীত মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না বললেই চলে। সেখানে স্লুইস গেট গুলোর তেমন কোন কাজ নেই । সুতরাং নদী খনন করতে হবে। এই খনন সিএস খতিয়ান অনুসারী হবে । তবে যদি কোথাও নদীর গতিপ্রবাহ সরে যায় তাহলে আরএস ডিএস খতিয়ান ধরে হবে। পানি উন্নয়নবোর্ডকে যেটা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে জেলা প্রশাসন ইউ এনও স্থানীয় জনগণ উপকার ভোগী সকলের সাথে মতবিনিময় করে সমন্বিতভাবে একটি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কারণ এটা জনগণের সম্পত্তি এটা সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। তিনি আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া স্লুইচ গেট এলাকায় বড়াল নদী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহম্মদ মোবাশেরুল ইসলাম, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমানসহ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসেময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়য়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গত ৫৩/৫৪ বছরে আমরা নদীকে যেভাবে নষ্ট করেছি, দখল করে, দুষণ করে, পরিবেশের দিক চিন্তা না করে অবকাঠামো নির্মান করে বা এক ধরনের জেদ করে যে আমি যা করেছি তাই সঠিক করেছি অন্য কোন মানুষের কথা সঠিক না। সেগুলো এক দেড় বছরের সরকারের দ্বারা সমাধান করা সম্ভব না। তবে একটা রুপরেখা তৈরি করে যাওয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন, তারা প্রতিটি জেলাতেই একটি করে নদী দখল,দুষণ মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। যদিও সেগুলো করে যাওয়ার সময় আমরা পাবোনা। তাই ৮টি বিভাগে একটি করে ও কক্সবাজারে একটি এবং ঢাকায় ৪ টি নদীর বাজেট করে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *