স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের গুরুদাসপুরে আশি বছর বয়সী বিধবা মা জরিনা বেগমকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনাটি গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত। পুত্র হান্নানের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ায় তার জীবন এখন বিপন্ন। তাকে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবার। জরিনা বেগম উপজেলার সাহাপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মরহুম নজিরুদ্দিন প্রামাণিকের স্ত্রী।
এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে গুরুদাসপুর পৌরসভার সামনে জরিনা বেগম (৮০) ও তার সম্পত্তি বঞ্চিত ছেলে নজরুল ইসলাম (৬২) সহ পাঁচ মেয়ে প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃদ্ধা জরিনা বলেন, ‘ছোটবেটা হান্নান আমাক ডাক্তার দেক্যানির নাম করে উপজেলাত লিয়া য্যায়া সব জমি লেকি লিচে। ভাত কাপুড় দেয়না। আবার মারধর কইরি তাড়ায় দিচে। আমার টেকা, গয়না, জমি ঘুরত দিক’ বলে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
প্রতিবেশী আফসার হাজী, আব্দুর রহিম ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জরিনা বেগম চলাচলে প্রায় অক্ষম। গত ২০ সেপ্টেম্বর তার অভিযুক্ত ছেলে আব্দুল হান্নান ডাক্তার দেখানোর নাম করে তাকে উপজেলা সদরে এনে সম্পূর্ণ জমি (৫ বিঘা) রেজিষ্ট্রি করে নেন। শুধু তাই-ই নয়, বৃদ্ধা স্বামীর ব্যাংকে রেখে যাওয়া ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ১ ভরি ৭ আনা স্বর্ণ, নগদ ১ লাখ টাকা ও ২০ মণ চাল একাই আত্মসাৎ করেছেন হান্নান। জরিনা এর প্রতিবাদ করায় শনিবার তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ছেলে আব্দুল হান্নান মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মা স্বেচ্ছায় তাকে জমি লিখে দিয়েছেন। ব্যাংকের ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার নোমিনী তার মা তাকে দিয়েছেন। তবে নগদ ১ লাখ টাকা, ১ ভরি ৭ আনা স্বর্ণ ও ২০ মণ চাল তার কাছে সংরক্ষণ আছে। তারপরও গ্রামের শালিসী প্রধান ও ইউপি চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা তিনি (হান্নান) মেনে নেবেন।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।