স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের পূর্ণখননকৃত জিয়া খালের দখলকে কেন্দ্র করে বাঁশিলা ও হালতির দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।পাহারা দেওয়ার ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।রোববার বেলা ১০ টার দিকে উপজেলার হালতি বিলের হালতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন,উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের ইসমাইলের ছেলে ও বিএনপির ওর্য়াড নেতা এন্তাজ আলী (৪৫),বিএনপির ওর্যাড নেতা ও শামসুলের ছেলে রাজ্জাগ আলী (৩৮),ও একই গ্রামের আজিজের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৬),প্রতিপক্ষ হালতি গ্রামের ফলেনের ছেলে সেলিম (২৬),রশিদের ছেলে রাশেদ (৩০) উজ্জল (২৫),তার বোন রুপালি (২৮)।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা ও হালতি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বরেন্দ্র বহুমুখি প্রকল্পের পূর্ণখননকৃত জিয়া খাল উন্মুক্ত জলাশয় হিসাবে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসী ভোগ করে আসছিলো।পট পরিবর্তনের পরে বাঁশিলা গ্রামবাসী হালতি বিলের বাঁশিলা মোর্জার অংশ বাঁশিলা গ্রামবাসী ও মৎস্যজীবিরা মাছ শিকারের জন্য দখলে নেয়।হালতি গ্রামের অংশে হালতি গ্রামবাসী দখল নেয়।হালতি বিলের জিয়া খালে মাছ শিকারের জন্য দখলকে কেন্দ্র করে রোববার বেলা ১০ টার দিকে হালতির বিএনপির কর্মী ফলেন গ্রুপ ও বাঁশিলা গ্রামের মৎস্যজীবির পক্ষে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক জিয়া গ্রুপের দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে বাঁশিলা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালটি পূরোপুরি দখল নিতে যায়।এতে বাধা দেয় হালতি গ্রামের লোকজন।এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।এসময় খালের ধারে থাকা পাহারা কক্ষ ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা।এতে নারীসহ উভয় পক্ষের আন্তত ৬ জন গুরুতর আহত হয়।
নলডাঙ্গা থানার তদন্ত ওসি মনোয়ার জাহান বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।এ ঘটনায় এ রির্পোট লেখা পযন্ত কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।#