বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগ সভাপতি কসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে মাছ চুরির সময় ৭ জনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এসময় মাছ ধরার জাল, একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যান জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। রোববার ভোর পাঁচটার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। কসলেম উদ্দিন পারকোল গ্রামের করম আলীর ছেলে এবং মাঝগাঁও ইউনিয়নের ১নং পালকোল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নাজমুল আলম, রাজু জোয়াদ্দার, রানা মিয়া, কৌশিক আহম্মেদ, আলমগীর হোসেন, তুষার আলী ও সুমন হোসেন।
থানায় মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ সংলগ্ন নিজস্ব ৫০ শতকের একটি পুকুর আছে। যেখানে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ আছে। এই মাছ চুরির পরিকল্পনা করেন মসলেম, ইসলাম, আনোয়ারসহ বেশ কয়েকজন। তারই রেশ ধরে রোববার ভোররাতে মাছ পরিবহনের ট্রাক, ভ্যান, জাল নিয়ে ১০/১২ জন মৎস্যজীবিহর ২০/২২ জনের একটিদল মাছ ধরতে যায়। স্কুলের নাইটগার্ড আমজাদ হোসেন বিষয়টি দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী দলবদ্ধ ভাবে তাদেরকে ঘিরে ফেলেন। এসময় জাল, মাছ, ভ্যান ফেলে অধিকাংশরা পালিয়ে গেলেও ৫ মৎস্যজীবিসহ ৭ জনকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে আটকদের পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়েল অভিভাবক প্রতিনিধি ইব্রাহিম ওরফে নয়ন বাদী হয়ে ১১ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনের নাম দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কসলেম ও ইসলামের মোবাইল বন্ধ এবং এলাকায় না থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি। পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।