স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার দুটি পৃথক ধারায় একই বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর একটি ধারায় ১৪ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে আদালতের বিচারক মোহাঃ মহিদুজ্জামান। অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ রায় দেন। রায়ে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২২ বছরের ০১ অক্টোবর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ। পরে রাজশাহীর এক বাসায় আটকে রেখে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েক দফায় মেয়েটির উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় সে। পরে ঐদিন রাতে পরীক্ষার্থীর মা অপহরণের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও অভিযুক্ত ফিরোজ পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার ১১দিন পর গাজীপুরের কালিকাকৈড় এলাকা থেকে ফিরোজকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে এসে ভুক্তভোগীর পরিবার সহ স্বাক্ষী;ের ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ না অপতৎপরতা চালান। দীর্ঘ তিন বছর পরে ন্যায় বিচার পেয়ে খুশি ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসি।
নিজ বিদ্যালয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় পুলিশ তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করেন। চার্জ গঠনের সময় বিচারক দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে একমাত্র আসামি হিসেবে ফিরোজের বিচারকাজ শুরু করেন। পরে পরে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন, সাক্ষ্য গ্রহন ও যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।
এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি জানিয়েছেন বলে জানান রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি.) মুন্সী আবুল কালাম আজাদ। আসামীদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।

