অবশেষে অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে আত্ম প্রকাশ করলো সংবাদ শৈলী। নাটোর সহ দেশের গণ মানুষের আশা আকাংখার প্রতিফলনের অঙ্গিকার নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের দৃপ্ত প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাব। একাজে অকুণ্ঠ সমর্থন চাই দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের। সংবাদ শৈলী কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দলের মুখপত্র নয়। এটি হবে সাধারণ মানুষের কাগজ। আমরা মানুষের কথা বলতে চাই , সমাজের কথা বলতে চাই। তুলে আনতে চাই সমাজের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া কাহিনীগুলো। আমাদের আয়োজনে যতটা না সংবাদের প্রাধান্য থাকবে তার চেয়ে বেশী থাকবে বিশ্লেষণ। দৈনন্দিন ঘটনার পাশাপাশি রাজনীতি, সমাজ নীতি, স্বাস্থ্য শিক্ষা, বিনোদন খেলাধুলা, জাতীয় ও অন্তর্জাতিক ঘটনাবলী তুলে আনতে চাই পাঠকদের সামনে। এই আশা এই প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের পথ চলা শুরু। আমরা কথা বলতে চাই অকুণ্ঠ চিত্তে। আমরা এগিয়ে যেতে চাই বলিষ্ঠ প্রত্যয়ে। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরাও পারি একটি গুনগত মান সম্পন্ন কাগজ সম্পাদনা করতে। একাজটি আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। একাজে এগিয়ে আসতে হবে লেখক ,বিশ্লেষক,বিজ্ঞাপণদাতাসহ সবাইকে। আমরা এমন একটি কাগজ তৈরি করতে চাই যেন সবাই মনে করেন এটি আমার কাগজ, আমাদের কাগজ। যেদিন একাজে আমরা সফল হবো সেদিন মনে করবো আমরা সফল। প্রিয় পাঠক আপনারা জানেন, নাটোরে উত্তর কণ্ঠ নামে একটি দৈনিকের প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলাম আমি। সংবাদ পত্রটি মিডিয়া ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু যথেষ্ট পাঠক প্রিয় থাকা সত্বেও আমি দৈনিকটি ধরে লাখতে পারিনি। কারণ ক্রম বর্ধমান লোকসান আমার পারিবারিক জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছিল নানা ভাবে। তাই বাধ্য হয়েই মালিকানা হস্তান্তর করতে হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে নাটোরের মত একটি জায়গায় যেখানে বিজ্ঞাপণ বাজার নেই বললেই চলে সেখানে মান সম্মত দৈনিকের নিয়মিত প্রকাশনা এবং পাঠকদের হাতে পৌছে দেয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বাধ্য হয়েই সাপ্তাহিক প্রত্রিকা প্রকাশনার আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আশা করি সাপ্তাহিকটিকে নিয়মিতভাবে আপনাদের কাছে পৌছে দিতে সক্ষম হবো।এক্ষেত্রে আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন আমাদের পথ চলাকে মসৃন করবে। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩