স্টাফ রিপোর্টার
লালপুরে বিভিন্ন স্থানে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে মসলা ও ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। শনিবার নাটোরের লালপুরে“আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভ জনকভাবে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক”বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউ ঈশ্বরদীর উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে এসব কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চাষিরা।
শনিবার দুপুরে উপজেলার দুরদূড়িয়াএলাকার মোনিহারপুর গ্রামেএ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিতহয়।এতে বিএসআরআইএর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো: আব ুতাহের সোহেল এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন,বিএসআরআইএর মহাপরিচালক ড. মোঃ ওমর আলী।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ খবির উদ্দিন মোল্লা, উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাক আহমেদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, কৃষক প্রতিনিধি আজগর আলী প্রমূখ।এতে ৭০ জন কৃষক -কৃষাণী কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আখ বিক্রির জন্য সময় মতো পুঁর্জি না পাওয়া, পোকার আক্রমনে আখ নষ্ট হলেও কীট নাশক না পাওয়া, আখ চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে সময় বেশি লাগা, বিক্রির পর সময়ের টাকা অসময়ে পাওয়া, দাম কমের কারণে লাভ কম- এসব কারণে দিন দিন আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। এজন্য আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আখ চাষে বিমুখ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে কাজ করছে বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে এখন লাভের মুখ দেখছেন আখচাষিরা। নাটোর নর্থবেঙ্গল চিনিকল এলাকায় ৪০জন কৃষককে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মহাপরিচালক ড. মোঃ ওমর আলী জানান, আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এবার কৃষক প্রতি ৩০-৪০হাজার টাকা সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ সুবিধার জন্য দেয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কৃষক আজগর আলী বলেন, নিজের জমিতে প্রথম সাথী ফসল হিসেবে আলু, পিয়াঁজ, রসুন, সরিষা, টমেটো, এবং ২য় সাথী ফসল হিসেবে ডাল জাতীয় ফসল পাওয়ায় লালপুর অঞ্চললের কৃষক একদিকে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। অন্যদিকে তারা অনেক লাভবান হচ্ছে।
কৃষক কটা আলী বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে সাথী ফসল হিসেবে প্রথমে রসুন, গুটি পেঁয়াজ, আলু চাষে ভালো ফলাফল পাওয়ায় ২য় সাথী ফসল হিসেবে মুগ ডাল বপন করা হয়েছে। এবার সাথী ফসল হিসেবে রসুন ৪ মণ ৩১ কেজি, পেঁয়াজ ৫ মণ ২৭ কেজি, পাকরী আলু ২৭ মণ পেয়েছেন বলে জানান।