স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের লালপুরে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন । পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়াা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনির সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধে ওসমান গনির বাড়িতে এসে তার বাবা ও ভাইসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে এ ঘটনার জেরে ২০২৩ সালের ১ লা জানুয়ারীতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে খুন হন একই গ্রামের মৃত আজাহার আলী মৃধার পুত্র ও কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক মৃধা। উক্ত খুনের প্রধান আসামী ছিলেন নিহত উসমান গনি।
সে কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস কারাবাসের পর প্রায় দুই মাস আগে জামিনে বাড়িতে আসে ওছমান গনি। রোববার সকালে তিনি নিজ গ্রামে জাহাঙ্গীরের চায়ের দোকানে বসে চা-বিস্কিট খেয়ে দোকান থেকে বের হলে, তাকে আক্রমন করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। নিহতের স্ত্রী আরজিনা বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় প্রকাশ্য দিনের বেলায রেজা ,ফিরোজ মিল্টন আবুল কায়ের আরিফুুল ও রফিকুল সহ ১৫/২০জন ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির অদুরে রাস্তায় আক্রমন করে। এসময় গ্রামবাসী এগিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকেও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ঘটনার উপস্থিত সময় দুএকজন পুলিশ সদস্য তাদের বাধা দেওয়ার ছেষ্টা করলে তাদেরকেও হুমকি দেওয়া হয়। এসময় থানায় খবর দেয়া হলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছার পূর্বেই আক্রমন কারীরা ওছমানের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্থান ত্রাগ করে। তিনি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন। নিহত ওছমানের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।ওছমানের মেয়ে বোন ান্যদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে ওছমানের বাড়ির পরিবেশ। স্থানীয় লোকজন জানান, তারা ওছমানকে বাচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ওদের স্বশস্ত্র হুমকির কারণে কেউ এগিয়ে যায়নি। তবে এ বিষয়ে সাবেক ইউপি মেম্বর রেজাউলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সংবাদ পেয়ে দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব, লালপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্র্তা শামীমা সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলেন।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের অনুমান পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক দ্রæত তাদের গ্রেফতার ও অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি ওসি মো. উজ্জল হোসেন জানান, কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেনআব্দুর রাজ্জাক।এই বিরাধের জের ধরে ওসমান গণি খুন হয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। অপরদিকে সুরতহাল রিপোর্টের পরে মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তবে এখনো কোন মামলা হয়নি ।