স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। নিরুপায় হয়ে স্বামী রিহানশাহ (২২) বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের নারী সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী স্ত্রী আরজিনা বেগম (২০)। উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বামনকোলা গ্রামের আজাদুল ইসলামে মেয়ে।
এদিকে যৌতুকের কবল থেকে পরিবারকে রক্ষা, নিযার্তন ও স্বামীর ঘর করার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আরজিনার পরিবার। বৃহষ্পতিবার বিকালে নিজবাড়িতে ওই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরজিনার বাবা আজাদুল ইসলাম মা বেবী বেগম ও দাদা আকবর হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে আরজিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর আগে নিজের পছন্দেন রিহানশাহকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়েতে যৌতুক দেওয়ার কথা না থাকলেও টিভি-ফ্রিজসহ আসবাবপত্র পরে ঘরনির্মানের জন্য নগদ দেড় লাখ টাকা দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আরো ৬ লাখ টাকার দাবিতে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।
কিন্তু বাবার পরিবারের অবস্থা বিবেচনায় স্বামী ৬ লাখ টাকার আবদার মেটাতে না পারায় এক মাস আগে নির্যাতন করে বাড়িছাড়া করা হয়। একমাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করলেও স্বামী রিহানশাহ খোঁজখবর নিচ্ছেনা। উপরন্ত দাবিকৃত ৬ লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাঠাচ্ছেন তিনি।
আরজিনার বাবা আজাদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,-ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক তিনি। সামান্য কৃষিজমি চাষাবাদ করে দুই মেয়ের পড়ালেখা ও সংসারের খরচ যোগাতে হয়। তার পরও বিয়ের সময় সাধ্যমত মেয়েজামাইকে অনেক কিছুই দিয়েছিলেন। এখন ৬ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ারমত অবস্থা নেই তাঁর। নিরুপায় হয়েই উপজেলা প্রশাসনের নারী সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
আরজিনার স্বামী রিহান শাহ জানায়, তার স্ত্রী নিজে থেকেই বাবার বাড়ি চলে গেছে। টাকা পয়সার কোন বিষয় নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান,‘অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।