স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মিঠুন আলীর ডান হাতের কব্জি প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী (এহিয়া) নেতৃত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় একটি মিছিলকেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কানাইখালি পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিহ হয়।
এসময় বক্তারা বলেন,৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে ঢাকার লালমাটিয়ায় সিটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার ২৪ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। দোষী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। আইনের মাধ্যমে দ্রুত বিচার দাবী করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী-লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তারুল ইসলাম আলম, আব্দুল্লাহ আল সাকিব বাকি, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাব্লু, নাটোর জজ কোর্টের এ্যাডঃ রত্না খাতুন প্রমুখ।
নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি ।
পুলিশ ও আহত ব্যাক্তির পরিবার জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিঠুনসহ তার সমর্থকরা বলারীপাড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় রাজার পুকুর পাড়ে পড়া অবস্থা ২০/২৫ জন যুবক মিঠুনের ওপর হামলা করে। ্বংএসময় মিঠুনদের লক্ষ্য করে মরিচের গুড়া ছুড়ে মারে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মিটুনের হাতের কব্জি কেটে দেয়। এ সময় মিঠুনকে বাঁচাতে গেলে মিঠুন সমর্থক আরমান আলী, আব্দুলাহ আল রাব্বি ও বকুল মিয়াসহ ৪জন আহত হয়। এসময় মিঠুন আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার লালমাটিয়ায় সিটি হাসপাতালের নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীগ নেতা নান্নু শেখ এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক
মিঠুন আলীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধে গত ১৬ এপ্রিল যুবলীগ নেতা মিঠুনসহ তার সমর্থকরা সাবেক কাউন্সিলর নান্নু শেখকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর থেকেই এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।