স্টাফ রিপোর্টার
বশেষে মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করলেনঅ পহরণের দায়ে অভিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ কাছে এসে প্রার্থী লুৎফুর হাবীব রুবেলের পক্ষে প্রত্যাহার পত্রটি জমা দেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন।
প্রত্যাহার পত্রে জানানো হয়, আমি মোঃ লুৎফুল হাবীব সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪ইং এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণে আমার নির্বাচন করা সম্ভব নয়। অতএব, বিধায় প্রার্থনা এমতাবস্থায় আমার জমাকৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক আমাকে উক্ত নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে মর্জি হয়। এরআগে সকালে এক ভিডিও বার্তায় লুৎফুর হাবীব রুবেল তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে জানতে লুৎফর হাবীব রুবেলের মোবাইলে কল করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ প্রত্যাহার পত্র প্রাপ্তির কথা নিশ্চি করে বলেন , পরবর্তী আইনগত কার্যত্মক্রম নেওয়া হচ্ছে। , গত ৩ এপ্রিল তিনি শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। তার আগে গত (১৯ এপ্রিল) সকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে ফোনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করে।অপরদিকে গত শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে লুৎফুল হাবিব রুবেলকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে কেন সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
withdraw letter
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বের হন। এ সময় তারা জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন দুবৃত্ত আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে নেমে আসলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে নেয়। এ সময় তারা তাকে গাড়ির ভিতর মারধর করে। পরে বিকেলে দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে (সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীব রুবেলের। পরে আহত দেলোয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেন এবং অপহরণে ব্যবহার করা রুবেলের মাইক্রেবাসসহ মাইক্রোবেসর ভিতরে রাখা দেশীয় অস্ত্র এবং রুবেলের কিছু পোস্টার উদ্ধার । পরে গত ১৯ এপ্রিল অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক।
Post Views: 557