রাজনীতির ত্যাগী মানুষেরা জনগণের মধ্যে বেঁচে থাকেন। তাঁদের কর্ম ,ধীশক্তি , মেধা ও ত্যাগ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। এক পর্যায়ে তাদের নেতৃত্বের সততার মধ্য দিয়ে মানুষের মনে স্থায়ী আসন করে নেয়। তিনি হয়ে যান কাল উত্তির্ন। সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ তাঁকে আপন ভাবতে শুরু করেন । বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরী তেমনি একজন মানুষ। যিনি জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও সকল শ্রেণির মানুষকে আপন করে নিয়েছিলেন। তার সেই ত্যাগ আর তিতিক্ষাই নাটোরের মানুষ মনে রেখেছেন শ্রদ্ধার সাথে। তিনি ২ বার পৌরপতি দুইবার এমপি ও জেলা গভর্ণর নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন নির্লোভ মানুষ। তিনি রাজনীতি করেছেন গণ মানুষের জন্য। নিজের আখের গোছানোর জন্য নয়। আমরা অবাক হয়েছি তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখে। কোন মিছিল নেই মিটিং নেই। জন কোলাহল পূর্ণ তার বাড়ীও ছিলনা। লোকজন আসতেন। তিনি সমস্যার সব শুনে সেগুলো সমাধানের চেষ্টাও করতেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় তিনি প্রাথী হলে সিমিত প্রচারণা আর লোকবল দিয়েই তিনি নির্বাচিত হতেন। একেই বোধ হয় বলে গণমানুষের ভালবাসা। আজ বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর ২৫তম প্রয়াণ দিবস। তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানা ধরণের কর্মসূচী এজন্য ধন্যবাদ জানাই আয়োজকদের। তবে এ কথাও ঠিক এসব আয়োজন না করলেও নাটোরের মানুষের কাছে বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরী শ্রদ্ধার ও স্মরণীয় ব্যক্তি হিসেবেই বেঁচে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে নাটোরের রাজনীতিতে। স্বার্থ আর আদর্শহীন রাজনীতির এই সময়ে তিনি অনুকরণীয়। সেকারণেই তিনি শুধু নাটোর জেলায় নয় সমানভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনপ্রিয় ব্যক্তি। পরিশেষে কবির সেই কথাটিই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই “উদয়ের পথে শুনি কার বানী ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই”