স্টাফ রিপোর্টার
ধুমধাম করে চলছিল কিশোরী নদীর (১৬) বিয়ের আয়োজন। বাড়িভর্তি লোকজনের মুখে বিয়ের গীত। তবে নদীর বাবা-মার মতামত ছিলোনা ওই বিয়েতে। শুধু নানীর মতে ওই বিয়ে হচ্ছিলো। মঙ্গলবার গায়ে হলুদের পর বুধবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সব আয়োজন শেষ। এরইমধ্যে বিয়ে বাড়িতে হাজির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাদাপানি পেরিয়ে উপজেলার বিয়াঘাট বাবলাতলা গ্রামে নদীর পিতার বাড়িতে ওই বাল্যবিয়ে বিরোধী অভিযান চালান ইউএনও শ্রাবণী রায়। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আত্মীয় স্বজনরা। এসময় বাল্যবিয়ে না দেওয়ার স্বর্তে নদীর নানী মুচলেকা দেয় এবং বাল্যবিয়ে আয়োজন করায় তাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়।
নদীর পরিবার জানায়, এই বিয়েতে আমাদের কোনো মত ছিলোনা। পড়াশোনা না করায় নদীর নানী ও বর পক্ষের যোগসাজসে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলেও নদী আর পড়াশোনা করেনি। তবে সে আবার স্কুলে যাবে বলে জানিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, খবর পাওয়ার সাঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়। মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় নদীর নানীকে জরিমানা করা হয়। এসময় বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে নদীর পরিবারকে অবগত করা হয়। একইসাথে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর কাজীর মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করে বিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় নদীর পরিবারকে।