স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে শাকিল আহমেদ বাবু (৩২) নামের এক যুবকে বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় স্থাণীয় ইউপি সদস্যসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ বাবু উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কুমরুল গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন গ্রাম প্রধান ফিরোজ হোসেন, জোয়াড়ী ইউপি সদস্য ইন্তাজ আলী। ধর্ষনের শিকার ওই নারী পাবনা এ্যাডওয়ার্ড কলেজের ¯œাতক (সম্মান) ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী।
মামলা সুত্রে জানাযায়, প্রায় দেড় বছর আগে রাস্তা দিয়ে কলেজে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব করতো শাকিল আহমেদ বাবু। ওই শিক্ষার্থী রাজি না হলে বিভিন্ন রকম হুমকি দিত। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারই পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে একাধিক বার শারিরিক সম্পর্ক হয়। গত কোরবানীর ঈদের পরে পেটের ব্যাথা হলে একটি বেসরকারী হাসপাতারে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করে ওই কলেজ ছাত্রী আন্তঃসত্তা জানানো হয়। আর পেটের ভিতরে বাচ্চাটি টিউবে অবস্থান করছে। দ্রæত অস্ত্রোবাচারের মাধ্যমে অপসারন করতে হবে। পরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সেটি অপসারণ করা হয়।
ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, আন্তঃসত্তা হওয়ার খবর জানার পর আমি বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাবু বিয়ে করতে অস্বীকার করে। আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ইউপি সদস্য ও গ্রাম প্রধানরা আমাকে থানায় মামলা করতে বাধা দেয়। তারা কোন ভাবেই যাতে থানাতে যেতে না পারি তার জন্য সার্বক্ষনিক লোক নিয়োগ করে রাখে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানতে পেরে আমাকে উদ্ধার করে থানায় মামলা করার ব্যাবস্থা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব বলেন, আমি ঘটনা জানতে পেরে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা হিসেবে গ্রহন করে অভিযুক্তদে গেফতার করার নির্দেশ দেই।
বড়াইগ্রাম থানার পরির্দশক আবু সিদ্দিক বলেন, ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।