স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজের উপর হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শহরের আলাইপুর এলাকায় বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী বাসভবনে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র প্রাপ্ত আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু,আহবায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান শাহীন, সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক বাবুল চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা রহিম নেওয়াজের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা এবং হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে। এর আগেও জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়। এছাড়া তাদের হামলা ও নির্যাতনে বিএনপির অনেক নেতা কর্মি আহত হয়েছেন। নাটোরে রাজনৈতিক সহাবস্থানকে গলাটিপে হ্যতা করেছে বর্তমান ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দল। তারা বলেন , হামলায় মারাত্মকভাবে আহত রহিম নেওয়াাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রিলায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসলে মামলা দায়ের করা হবে। এ সময় আত্মস্বীকৃত হামলাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান বিএনপি নেতারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোর ৫ দিকে অটোরিক্সাযোগে নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী গ্রাম থেকে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আসার পথে নাটোর শহরের গুড়পট্টি চক বৈদ্যনাথ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন বিএনপি নেতা রহিম নেওয়াজ। এসময় তাকে লাঠি সোটা রড দিয়ে বেধড়ক পেটায় সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার রিায়েন্স হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। এই হামলার জন্য আওয়ামীলীগের এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থকদের দায়ী করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু এবং রিহম নেওয়াজের ছেলে রাকিব নেওয়াজ। তবে নাটোর-০২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির আভ্যন্তরীন বিরোধের জের ধরে নিজ দলের কর্মিদের হামলায় রহিম নেওয়াজ আহত হয়েছেন।