স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ ১০ ফুট মাটির নীচে পুঁতে রেখেছিলো ঘাতক প্রেমিকা। পরে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব ও পুলিশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে প্রেমিকের লাশ। শুক্রবার বিকেল উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রেমিকা হোসনেআরা বেগমের বাড়ির টিউবওয়েল এর পাশে ১০ ফুট গভীরের মাটি সরিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রেমিক শাহিন শাহ (৪৫ ) এর মৃতদেহ। এ ঘটনায় হোসনেআরা বেগম (৪০) ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম -১৪কে আটক করে পুলিশ।নিহত শাহিন শাহ নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার শাহের ছেলে। তিনি পেশায় একজন আদালতের মহুরী (আইনজীবি সহকারী)।
আজ শরিবার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ৩ সন্তানের জননী হোসনেআরার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে শাহিন শাহ। গত ৬ মাস ধরে এ সস্পর্ক চলছিলো। তাদের মদ্যে এই অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মনো মালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরপর গত ৬ আগষ্ট শাহীন শাহকে হোসনে আরা চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে গলায় বেল্ট জড়িয়ে শ্বাস রোধ কওে হত্যা করে। পরে ছেলে ইমনের সহায়তায় টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করা কুপে তার মৃতদেহ ফেলে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শাহিন শাহের পরিবার ৯আগস্ট একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। এরপর র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন লোকেশন প্রযুক্তি ও তদন্ত চালিয়ে ১১আগস্ট হোসনেআরার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে সে। পরে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।এ ঘটনায় দুজনকে গেস্খফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্ধ কওে রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছেন। সংবাদ সম্শেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর নাটোরের কোম্পানী অধিনায়ক সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ নুরল হুদা, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মাইনল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম , সারমিন মাহমুদা নেলী , শরীফ আল রাজিব সহ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।