স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে এক দোকানীর ওপর কলেজ ছাত্র সহ সঙ্গীয়রা হামলা চালিয়েছে। এতে দোকানী গুরুতর জখম হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে প্রায় ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। রবিবার সকাল ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত উপজেলার বনপাড়া-লালপুর সড়ক অবরোধ করে তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, শনিবার সকালে বনপাড়া সেন্ট যোশেফস স্কুল এন্ড কলেজ রোডে ওই কলেজের কয়েকজন ছাত্র নিজেদের মধ্যে কথাকাটি ও এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে। এটা দেখতে পেয়ে পাশের রকমারী পণ্যের দোকানী নাহিদুল ইসলাম রনি (২৭) থামাতে আসে ও দুই একজনকে চড়-থাপ্পড় ও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টার দিকে কলেজ ছাত্র মোহন সঙ্গীয় কাউসার, সুমন সহ ৫/৬ জন চাপাতি, রড, হাতুড়ি, কাঠের বাটাম নিয়ে দোকানী রনির উপর হামলা চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে অন্যান্য দোকানীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত রনি বনপাড়া পৌর শহরের হারোয়া মহল্লার মৃত মাসুদ রানা মিঠুর ছেলে।
এদিকে রবিবার সকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ রনির পক্ষের শতাধিক এলাকাবাসী বনপাড়া পৌর চত্বরে মেয়রের কাছে বিচারের দাবিতে অবস্থান নেয়। এ খবর পেয়ে সেখানে কলেজ ছাত্র মোহন সহ তার এলাকাবাসীরা উপস্থিত হলে সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয় ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে রনির পক্ষের সকল লোকজন বনপাড়া মিশন মার্কেট চত্বরে অবস্থান নেয় ও বনপাড়া-লালপুর সড়ক অবরোধ করে। অপরদিকে কলেজ ছাত্র মোহনের পক্ষের লোকজন রনিকে উল্টো দোষারোপ করে তার বিচারের দাবিতে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বনপাড়া পৌর মোড়ে অবস্থান নেয় ও মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করে। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ও দোষীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের প্রতিশ্রæতি দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় দুই পক্ষ। অবরোধের ফলে দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
বনপাড়া পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কেএম জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে আমিই দু’পক্ষকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমার জন্য অপেক্ষা না করে আকস্মিক সড়ক অবরোধ করে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, ঘটনাটি খুব বড় বিষয় নয়। দুই পক্ষকে ডেকে সমাধান করা কঠিন কোন বিষয় নয়।