স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে পুর্ব শত্রুতার জেড়ে আওয়ামীলী ও বিএনপি মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত ও চারটি বাড়ি ভাংচুর করার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার জোয়াড়ী গ্রামের সৈয়দ মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, আওয়ামীলীগ কর্মী কসের উদ্দিন (৫৬), জিল্লুর রহমান (৩৮), ওসমান আলী (১৮) ও বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান (৩৫), মাহফুজুর রহমান (২৪), জুয়েল রানা (৩২), আল আমিন আকাশ (২৬), আল আমিন (২০), রিয়াদ হাসান (১৭), আব্দুর রহিম (২৮)। আহতদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ও মাহফুজুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বৃ-কাছুটিয়া গ্রামে বিএনপি কর্মী সাইফুর রহমান ও জোয়াড়ী গ্রামের দুলাল হোসেনের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে কথাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।
দুলাল হোসেন বলেন, সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন, আব্দুর রহিমের সাথে গাঁজা বিক্রির বিষয় নিয়ে জামাত আলীর ছেলে নাইম, শহিদুলের ছেলে শিহাবের দ্বন্দ¦ হয়। পরে এই সংক্রান্ত একটি ৮ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ প্রায়। শুক্রবার সন্ধায় সাইফুর রহমান উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে জামাত আলী, শহিদুল ইমলামের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমার ভাই কসের উদ্দিন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে আমার ভাতিজারা একত্র হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন বলেন, আমাদের আম বাগানে দুলাল হোসেনরা সব সময় অত্যাচার করে। আমরা প্রতিবাদ করলেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মারপিট করে। শুক্রবার সন্ধায় চায়ের স্টলে রাজনৈতিক কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে দুলাল হোসেন ও তার লোক নিয়ে এসে আমাদের উপরে হামলা করে। এতে ৬ জন আহত ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।