স্টাফ রিপোর্টার
“মিত্তিকা তুমি আমার বিশ্বাসটা একদম শেষ করে দিয়েছো, আর বিশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকাটা সম্ভব না। তোমার মনে আছে তুমি আমাকে তোমার ব্যবহার করা একটা ওড়না দিয়েছিলে, আমি সেই ওড়নাতেই আজ ফাঁসি নিচ্ছি।” ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়ে ওই ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আতœহত্যা করে কলেজ ছাত্র ফাহিম ফয়সাল। নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও পারকোল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে চাপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল কলেজের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র ফাহিম ফয়সাল রবিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে কলেজ সংলগ্ন একটি মেসে আতœহত্যা করে। তার মৃতদেহ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।
জানা যায়, ফাহিম আগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সময় এক বান্ধবীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসএসসি পাশ করার পর ফাহিম চাপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল কলেজে কলেজে ভর্তি হয়। এর কিছুদিন পর ওই বান্ধবী া এই প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসলে ফাহিম মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আতœহত্যা করে। ফাহিম ওই স্ট্যাটাসে তার মা’কে উদ্দেশ্য করে লিখেন, আম্মু পারলে আমাকে মাফ করে দিও। তোমার ছেলেটা এভাবে চলে যেতে চায়নি কখনও। ইচ্ছে ছিলো বড় কিছু হয়ে তোমার ইচ্ছে পূরণ করার। তোমার অনেক সম্মান নষ্ট করেছি…আম্মু সত্যিই তোমার ছেলে এতটাও খারাপ ছিলো না। সময় মতো ঔষধগুলো খেও। আমি জানি এটা মহাপাপ। তাও আমি এটা করতে বাধ্য হচ্ছি।” ফাহিম ওই মেসের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না বেধে আত্মহত্যা করে।