স্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ ১৪ বছর প্রেমের পর অবশেষে সেই মালয়েশিয়া তরুণী সিটি হাসনা’র(৩২) সঙ্গে নাটোরে যুবক আনিছ রহমানের (৪২) বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।রোববার(৫ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোর আদালত চত্ত্বরে নোটারী পাবলিক ও কাজির মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। নাটোর আদালতে ১২ ঘটিকার সময় নোটারী পাবলিক অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন এর মাধ্যমে আইনী এবং পরে মুসলিম বিবাহ রীতি অনুযায়ী বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়।এর আগে গত শনিবার(৪ জানুয়ারি) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে আসেন মালয়েশিয়ার ওই তরুণী।আনিছ রহমান (৪২) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের ছেলে। এবং
সিটি হাসনা(৩২) মালয়েশিয়া একটি শহরের বাসিন্দা মশিন জাকরি’র মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে নাটোরের ছেলে আনিছ রহমানের সঙ্গে মালয়েশিয়া তরুণী সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ৫ বছর আগে পারিবারিক ভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতায় কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে প্রেমের টানে মাঝে মাঝে বাংলাদেশী যুবক আনিছ মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে শনিবার সকালে ওই মালয়েশিয়া তরুণী নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিক যুবকের বাড়িতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন তার মা। রোববার নাটোর আদালত চত্বরে নাটোর আদালতে ১২ ঘটিকার সময় নোটারী পাবলিক অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন এর মাধ্যমে আইনী এবং পরে মুসলিম বিবাহ রীতি অনুযায়ী বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা হয় । বিয়ের পেের গণ মাধধ্য্যমের উদ্দেশ্যে বলেন, আনিছ রহমান বলেন, ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। আজ পারিবারিক ভাবে আমাদের দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া। আমরা দুজনে অনেক আনন্দিত, দীর্ঘ অনেক সময়ের পর আমাদের প্রেম স্বার্থক হয়েছে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। এ অনিছ রহমােেনর ববাবা ভবাাই ওওস্বজনরাা উপস্থিত ছিলেন।
৩ নং খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। আজ তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জেনেছি। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।