স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিদ নির্বাচনে মনোননয়ন জমা দেওয়ার শেষে দিনে নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তার ভাই ও অপরএকজন আওয়ামীলীগ নেতাকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় অপর প্রার্থী তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক মো. লুৎফুল হাবিব রুবেলকে কারণ দর্শানোার নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ। শুক্রবার সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস সাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়ন পত্র জমাদানে বাধা দেয়া, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।এমতবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণের নিকট লিখিত ভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। এ সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে লুৎফুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সিংড়া উপজেলাা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সিংড়া পৌর সভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস কালের কণ্ঠকে বলেন, তাকে ইতমধ্যেই দলীয়ভাবে মনোনায়ন প্রত্যাহারের জন্য বলেছি। তাকে সোকজ কররাসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের জরুরী সভা আহবান করা হয়েছে। ওই সভায় চুড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহ যারা যারা অপহরণ ও মারপিটের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয়েছে। নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন দলীয়ভাবে রুবেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে। এখন ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাংগাঠনিকভাবে সিংড়া উপজেলা আওয়ামীলীগকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার ইসির উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক কারণ দর্শাও নোটিসে বলা হয়েছে, লুৎফুল হাবিব রুবেলের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, সোমবার কমিশনে হাজির হয়ে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে রুবেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রতিবেদন পেয়েছে কমিশন। জাতীয় দৈনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঘটনার সচিত্র বিবরণ এসেছে। এসব প্রতিবেদন ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা ‘প্রমাণিত’ হয়েছে।
“এমন ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল বা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে আগামী ২২ এপ্রিল বিকালে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।”
পুলিশ ও দেলোয়ারের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকালে নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বাড়ির সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায় তারা। ওই প্রার্থীকে মারধরের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে নাটোর পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন আদালতে সুমন আহমেদ ১৬৪ ধারায় জবাবন্দীতে বলেন লুৎফুল হাবিব রুবেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন কে অপহরণ ও মারধর করেন। তাদের সাথে কেকে ছিলেন তাও স্বীকার করেন তিনি। নাটোর থানার ওসি মিজানুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন কারা এ ঘঁনায়জড়িত ছিলেন তাদের নাম ও বলেনছেন সুমন । তবে তদন্তের স্বার্থে নাটোর থানার ওসি তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।