স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় ছাদ থেকে পড়ে নিহত আব্দুর রশিদের মরদেহ নাটোরের লালপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের হরতালে বাসে আগুন দিয়ে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পওে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে নিহতের ভাই রাকিবুজ্জামান বাবু অভিযোগ করেন, তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে পুলিশ তার কাছ থেকে লিখে নিয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে লালপুর উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের নাগদহ গ্রামের বাড়িতে মরদেহটি এসে পৌঁছায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাগদহ (শোভ) নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।মৃত আব্দুর রশিদ -৩৫ লালপুর উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডের্র নাগদহ গ্রামের মৃত খলিলের ছেলে।
প্রত্যক্ষ দর্শিরা জানায়, সোমবার সকাল থেকে আব্দুর রশিদের লাশ দেখতে স্বজন ও গ্রামবাসী তাদের বাড়িতে ভিড় জমায় । সন্তান হারা মা,স্বামী হারা স্ত্রী আর স্বজনদের কান্নায ভারী হয়ে উঠে সেকানকার পরিবেশ। বাবুর দাবি তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে পুলিশ তার কাছ থেকে লিখে নিয়েছে। আব্দুর রশিদকে পিটিয়ে হত্যার একই দাবি পরিবারের অন্য সদস্যদেরও।
বাবু জানান, আব্দুর রশিদ ঢাকার আদাবর থানাধীন ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক। দীর্ঘ ১৪ বছর পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করে সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি ঠিকাদারি পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তবে পুলিশ জানায়,গত রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল চলাকালে ঢাকার আসাদ এভিনিউয়ে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের কাছে ‘পরিস্থান পরিবহন’ একটি যাত্রীবাহী বাসে রশিদ আগুন দেয়। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে জাকির হোসেন রোডের নির্মাণাধীন একটি ৭ তলা ভবনের ছাদে গিয়ে উঠেন। জানা যায়, গত রোবার সকাল ১০টার দিকে আসাদ এভিনিউয়ে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের কাছে ‘পরিস্থান পরিবহন’ এর একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছিলেন রশিদ। আগুন দেওয়ার পর রাস্তার লোকজন ধাওয়া দিলে তিনি জাকির হোসেন রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে গিয়ে ওঠেন। ওই ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে মৃত্যু হয়।খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে
মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়।সেখান থেকে রাতেই নিহতের ভাই বাবু লাশটি গ্রহণ কওে দাফনের জন্য নাটোরের লালপুরে নাগদহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। আব্দুর রশিদের লাশ দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন।