সংবাদ শৈলী ডেস্ক
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ৩০ জন নিহত এবং আহত হয়েছে প্রায় ১০০ জন। একজন পুলিশ মুখপাত্র এ পরিসংখ্যান নিশ্চিত করেছেন।
এদিন দেশটির সবচেয়ে বড় শহর করাচি থেকে প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার দূরে নবাবশাহের সাহারা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে হাজারা এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি উল্টে যায়।
আহত যাত্রীদের কাছের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রাচীন রেল ব্যবস্থায় দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়।রেলমন্ত্রী সাদ রফিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ট্রেনটি স্বাভাবিক গতিতে চলছিল।কী কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে করাচিতে রেলওয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্তত আটটি বগি লাইন থেকে ছিটকে গেছে।
স্থানীয় সম্প্রচারকারী জিও জানিয়েছে, কিছু লোক এখনো ট্রেনের বগির ভেতরে আটকা রয়েছে।
একটি বগি থেকে উদ্ধারের পর এক হতবাক নারী বলেন, ‘আমরা জানি না কী ঘটেছে, আমরা কেবল ভেতরে বসে ছিলাম।
’ ওই বগির অন্যদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর সিন্ধুর নবাবশাহ ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর প্রধান হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিন্ধুর অভ্যন্তরীণ জেলাগুলোতে ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দুর্ঘটনাস্থলে কয়েক ডজন লোককে দেখা যাচ্ছে। কিছু যাত্রীকে উল্টে যাওয়া বগি থেকে বের হতেও দেখা যায়।
সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী শারজিল মেমন বলেছেন, সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল ‘উদ্ধারকাজ, যেটিতে আমরা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছি’।
২০২১ সালে সিন্ধু প্রদেশে ভ্রমণকারী দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এ ধরনের ঘটনায় ১৫০ জন মারা গেছে।
সূত্র : বিবিসি