স্টাফ রিপোর্টার
প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে,জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে কালজয়ী গানটির সঙ্গে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার এক মাত্র পত্রিকা হকার সেলিম রেজার জীবনের গল্প অনেকটাই মিল খুঁজে পাওয়া যায়।২৩ বছর ধরে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে রোদ্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,সরকারী,বেসরকারী অফিস ও বাসা বাড়িতে পৌছে দেন বিভিন্ন খবরের কাগজ।আর সেই খবরের কাগজের পাতায় পাতায় কতই না সংবাদ ছাপা হচ্ছে আর সেই খবর পড়ছে মানুষ।খবরের কাগজে ছাপা হয় না হকার সেলিম রেজার জীবনের দুর্দিনের গল্প।পত্রিকা হকার সেলিম রেজা (৪০) নাটোর সদর উপজেলার তেবারিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর আটঘরিয়া এলাকার মৃত মেহের মোল্লার ছেলে।পরিবারে একমাত্র স্ত্রী গত দেড় মাস আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।দুই ছেলে মেয়ের মুখে দুই বেলা খাবার যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে।স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে জমানো টাকা শেষ করেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি।সহায় সম্পতি বলতে কিছুই নেই পত্রিকা বিক্রি করার আয় দিয়ে চলতো সংসার।গত ৭ মাস যাবৎ পত্রিকা হকার সেলিম নিজেরও হার্ডের বøক ধরা পড়েছে। প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা ঔষুধ কিনে খেতে হয়। চিকিৎসকরা তাকে পরিশ্রম না করতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।অসুস্থ হওয়ার কারনে তিনমাস পত্রিকা বিক্রিও সাময়িক বন্ধ ছিল।এখন নিরোপায় হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ না মেনে পত্রিকা বিক্রি করে সামন্য আয় দিয়ে ঔষুধ কিনে বাড়ি ফিরছে।
তার উন্নত চিকিৎসা করাতে ভারতে যেতে হবে।চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা।কিন্ত অভাব অনাটনের সংসার এত টাকা কে দিবে কোথায় পাবে সহয়তা।অসহায় পত্রিকা হকার সেলিম দেশ বিদেশে থাকা বিত্তবানদের সাহায্য চেয়েছেন।সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-সোসাল ইসলামী ব্যাংক,নাটোর শাখা-একাউন নম্বর-১৫৫১৩৪০০২৪৪১২,জনতা ব্যাংক,বাসুদেবপুর শাখা-০১০০২২৫২১৪০১২,বিকাশ নম্বর-০১৭৩৮৬৮৪২২৬।