স্টাফ রিপোর্টার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নাটোরে স্কুল ছাত্র মো. ইয়াসিন ইসলাম (১৭) কে তুলে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি শিমুলসহ আওয়ামীলীগের ১১১জন নেতা কর্মির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।রোববার(১৮ আগস্ট) দুপুরে নিহতের বাবা মো. ফজের আলী বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২ নম্বর আসামি নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানকে।
এছাড়াও বাকী অন্য আসামিরা হলো নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলী (৫০)জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫৫), আওয়ামীলীগ নেতা মো মোর্তুজা আলী বাবলু (৪৮), সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল (৪৫), মো ফিরোজ (৩০), এ্যাড. আঃ মালেক শেখ (৪০), জাহিদুর রহমান জাহিদ (৩৭), জামিল হোসেন মিলন (৩২), বাবুল আকতার (৩৫), মজিবুর রহমান (৩৮), সায়েম হোসেন উজ্জ্বল (৪০), আৰু বিহারী (৪০), মো নাজমুল হোসেন সরকার (৪০), চিত্ত রঞ্জন সাহা (৩৮), সুজিত (ঠিকাদার) (৩৫) ,মোস্তারুল ইসলাম আলম (৩৫), রতন প্রামানিক (৩২), নয়ন সরকার (২৫), আরিফুর রহমান মাসুম (কমিশনার) (৩৫), আকরাম হোসেন পি এস (৩৫), আরিফুল ইসলাম সনি (৩৩), নাইম (২২), ময়েজ সরকার (৪৫), কুরবান (৪০), নিজাম(৪৫), জাহাঙ্গীর (৩১), সাজেদুল আলম সাগর (২৮), এহিয়া চৌধুরী (৫০), শফিকুল ইসলাম শরীফ (৭০), সাব্বির (২৫), ভেদা মেম্বার (৬০), আজিম (৪৮), রানা (৩০), রুবেল (২৯), হাফিজ উদ্দিন (৩৮), বাচ্চু (৩৮), সামাদ (৪০), সোহেল (২৫), সাখায়াত (২৮), কোয়েল (৩০), উমর আলী প্রধান (৫৫), ইউসুফ(৩২), আজম(৫৮), মো শাজাহান (৩৫), সোহেল (৩৩), শরিফ (৩৭) হাসান (২৯), রাকিব (২৯), জীবন (২৯), সজিব (৩২), প্রিন্স (৩২), মারুফ (৩২), সাইফুল (৩১), সুমন(৩০), বাবু(৩১), জনি (২৯), সবুজ (৫০), মোহন (২৮), গোলাম কিবরিয়া, (কুত্তা সেলিম) (৩২),রনি(২৯), বাঙ্গী (২৯), নাজমুল বাজি (২৮), আসাদুজ্জামান আসাদ (৩০), টুটুল(৩৫), মাসুদুর রহমান মাসুদ (৩১), ভোলানী কাজল (২৯), বাই সাইফুল (৩৩), শেখ, হাবিবুর রহমান চুন্নু (৩৫), হিরা (২৯), রবিন(২৮), রবি(২৭), মনির (২৮), জেমস(৩০), সিডু(৩২), রিফাত (২৬), কালাম(৩১), কামরুল(৩৫), উল্লাস (৩১), আকিব চৌধুরী(২৯), সাজ্জাদ হোসেন তপন(৩৪), আশরাফ গাজী (৩৫), মলয় কুমার রায়(৩৪), আলম গাজী(৩৭), সেন্টু গাজী (৩২), মান্নান মিতাজি(৩৪), খোকনবেপারি (৩১), ছোট নাজমুল (২৮), হান্নান মিজি (৩০), শান্ত(২৯), শিমুল(৪৩), কানন, (২৭) সজিব (৩২), সোহেল (৩৮) রুবেল (৩২), মাসুদ (৩৩), ইউসুফ আলী (কালু) (৩৮) রানা (৩২), কালাম (৩৫), রবিউল (৩৭) মোঃ রক্সি (২৮), মীর নাফিউল ইসলাম অন্তর, (৩৪), মোঃ আশিক আলী, মোঃ নাজমুল(৩৭), শাওন (৪২), শাওন, সজিব, গোলাপ হোসেন, জেমস।
মামলার বাদী মোঃ ফজের আলী জানান, গত (৪ আগস্ট) নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলোনে অংশ গ্রহণ করে আমার ছেলে মোঃ ইয়াসিন ইসলাম। সকাল ১০টার দিকে শহরের মাদ্রাসা মোড় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা হাতে পিস্তল, ছুরি, ধারালো হাসুয়া, কুড়াল, রামদা নিয়ে সমাবেশে দলবদ্ধ হয়ে ছাত্রদের আন্দোলোন বন্ধ করতে মারপিট শুরু করে। এরপর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের হুকুমে আমার ছেলে ইয়াসিন আলীকে এলোপাথারি মারপিট করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আমার ছেলেকে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে আটক রাখে। পরের দিন (৫ আগস্ট) বিকেলে ২ নম্বর আসামি আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে সেই কক্ষে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সকাল ৯ টার সময় ওই বাড়ির কক্ষ থেকে আমার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করি। সার্বিক পরিস্থির কারণে পুলিশের কর্মবিরতি থাকায় থানায় মামলা করতে পারেন নাই।তিনি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন।
নাটোর সদর থানার উপ পরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন সরকার এজাহার গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।