স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে আপহরণ ও মারধরের বিষয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত সুমন। সুমন স্বীকার করেন প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই তিনিসহ অন্যরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ারকে অপহরণ ও মারধর করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। জবানবন্দির তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত সোমবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে আসলে পর্যায়ক্রমে প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাই কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক এবং কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাত একটা ১৫ মিনিটে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় সিংড়া উপজেলার হারোবারিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হক বাবু-৩২ এবং কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলেসুমন হোসেন ৩০কে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত সুমন আহমেদ ও নাজমুল হককে নাটোর সদর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন আসামি সুমন আহমেদের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আদালত এ ব্যাপারে সুমনের বক্তব্য জানতে চান এবং এ বিষয়ে চিন্তা করার জন্য সময় দেন। দীর্ঘ সময় পর তিনি জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে সন্ধ্যার পরে ওই আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি শেষে সুমন ও নাজমুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, জেলা নির্বাচন কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন সুমন। দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সুমন স্বীকার করেছেন। তার সঙ্গে কারা ছিলেন সেটাও বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।