স্টাফ রিপোর্টার
পূর্ব শক্রতার জের ধরে নাটোর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন আলীর ডান হাতের কবজি কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা । এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও ৫ জন আহত হয়েছেন।আহত মিঠুনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বলারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, রবিবার রাত ৯ টায় শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ের আওয়ামী লীগের স্থানীয় অফিস থেকে যুবলীগ নেতা মিঠুন ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্যে বলারীপাড়ায় এলাকায় ২০/৩০ জন দূর্বত্ত তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা মিঠুনের চোখে মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি ছুড়ে দিয়েই এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু করে। এসময় মিঠুনের ডান হাতের কবজি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হামলায় আহত হয় জাহিদুল (৩৬),আব্দুল্লাহ আল রাব্বি (২৭),বকুল মিয়া (৩৬),জাহিদুল (৩৪), স্বপ্ন (২৪)। আহতদের
স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে মিঠুনের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গুতে পাঠানো হয়।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, মিঠুনের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া দাবী করেন, নিজ দলের নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে একের পর এক দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে।হামলার জন্য ামঠুনের ভাই ও মা জেরা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানকে দায়ী করেন।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, সাবেক কাউন্সিলর নান্নু শেখ ও মিঠুন আলীর দ্বন্দ্বের জেরে এসব ঘটনা ঘটছে । তিনি এসব ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ দলীয় পদে থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, ‘হামলার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য গত ১৬ মে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর নান্নু শেখকে কুপিয়ে জখম করে মিঠুনের সমর্থকরা। এ বিরোধের জের ধরেই রোববার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের বলারীপাড়া এলাকায় নান্নুর সমর্থকরা মিঠুন ও তার সংগীদের ওপর হামলা চালায় ।