স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানের সমর্র্থককে রুবেলকে তুলে নিয়ে মারপিট করের আহত করার অভিযেগে পরাজিত চেয়াররম্যান প্রার্র্থী জামিলুর রহমান মিলন ও তার গাড়ী চালক বাশারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মিলনের তালতলা হাফরাস্তা চেম্বার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় মিলনকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে রুবেল ইসলাম গাজীর পিতা আলম গাজী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জামিলুর রহমান মিলন বলেন , উল্টো রাশেদ নামে তার একজন কর্মিকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান এর কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট করেন তালতলা হাফরাস্তা এলাকার আলম গাজীর ছেলে রুবেল ইসলাম -৩২। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতরাত ৯টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিলুর রহমান মিলনের নির্দেশে তার গাড়ীর চালক বাশার ও কর্র্মিরা রুবেল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে মারপিট করা হয় রুবেলকে। এসময় হাত, পা ও মাথায় গুরুতর জখম করা হয়। পরে নাটোর ডিবি ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনের চেম্বার থেকে রুবেল ইসলামকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রথমে মিলনের গাড়ী চালক বাশারকে আটক করে। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে মিলনকে গ্রেফতার করে নাটোর সদর থানায় নেওয়া হয়।পরে শুক্রবার দুপুরে ওই মামলায় আদালতে নেওয়া হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিেেস্ট্রটের আদালত জামিলুর রহমান মিলনের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনে মুক্ত হয়ে জামিলুর রহমান মিলন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে হাবুর মোড় থেকে পন্ডিতগ্রাম যাওয়ার পথে পিছন থেকে কতিপয় সন্ত্রাসী তার কর্মি রাশেদকে পিটিয়ে আহত করে। পুরিশ ওই হামলায় যাররা অংশ গ্রহণ করেছিল তাদের ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। পরে রাশেদের বাড়িতে গিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এ সময় মিলনের কর্মিরা প্রতিবাদ করে এবং রুবেল আহত হয়। এ বিষয়ে তিনিও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, মিলনকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগি রুবেলের পিতা আলম গাজী । সেই মামলায় মিলন ও তার গাড়ী চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।